
পিএসজির কাতারি মালিক নাসের আল–খেলাইফির সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। দলকে শীর্ষ তোলার পেছনেও বিপুল অর্থ খরচ করেছেন তিনি।
২০১১ সালে পিএসজি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নাসের আল–খেলাইফি ফুটবলের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পিএসজিকে বিশ্বসেরা ক্লাবের কাতারে আনতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামেন তিনি। শুরু থেকেই রীতিমতো টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড় কিনতে নামেন কাতারি এই ধনকুবের।
তাঁর উদ্যোগেই নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং লিওনেল মেসি একসঙ্গে পিএসজিতে খেলেছেন। কিন্তু এত কিছু করেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলছিল না খেলাইফির পিএসজির। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল, পিএসজিকে হয়তো সাফল্যহীন হয়েই থাকতে হবে। কিন্তু সব জল্পনা ও শঙ্কা উড়িয়ে গত এক বছরে আমূল বদলে গেছে পিএসজি।
বিশেষ করে লুইস এনরিকের অধীনেই গত এক বছরের ব্যাপকভাবে সাফল্য পেয়েছে পিএসজি, যা এখনো চলমান। কদিন আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দলটি এখন পৌঁছে গেছে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে। সম্প্রতি অপ্টা পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ক্লাবও নির্বাচিত হয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি।
পিএসজির এমন সাফল্যের পেছনে কোচ এবং খেলোয়াড়দের চেয়ে খেলাইফির কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয়। শুরু থেকেই দলকে শীর্ষ পর্যায়ে নিতে অঢেল অর্থ খরচ করেছেন তিনি। অবশ্য দলবদলে খরচ করা সেই অর্থের পরিমাণ পিএসজির মালিকের কাছে থাকা সম্পদের তুলনায় বেশ সামান্যই বলতে হয়।
ট্রান্সফার মার্কেটের এক হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দলবদলে পিএসজি নেট খরচ করেছে ১৩০ কোটি ইউরো বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। অন্য দিকে ফোর্বস জানচ্ছে ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী খেলাইফির সম্পদের পরিমাণ ৯৩৬ কোটি ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। দুই পরিসংখ্যানের পার্থক্যই বলে দিচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পদের দিক থেকে অর্থনৈতিকভাবে খেলাইফি কতটা প্রভাবশালী।
খেলাইফির এই বিপুল সম্পদের মূল উৎস বিইন মিডিয়া গ্রুপ, কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস (কিউএসআই) এবং পিএসজি। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিইন মিডিয়া বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বড় স্পোর্টস মিডিয়া নেটওয়ার্ক।
কিউএসআই একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান, যা মূলত ক্রীড়াক্ষেত্র এবং সংশ্লিষ্ট মিডিয়া ও বাণিজ্যিক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় করে। এই কোম্পানির মাধ্যমেই ২০১১ সালে পিএসজির মালিকানা নেন খেলাইফি।
এ ছাড়া ক্লাব হিসেবেও পিএসজি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। মূলত কৌশলগত বিনিয়োগ ও নেতৃত্ব তাকে বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া ও গণমাধ্যম শিল্পে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।