ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজের শেষ ম্যাচ খেলবেন মেসি
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজের শেষ ম্যাচ খেলবেন মেসি

রেকর্ড গড়ে বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করার অপেক্ষায় মেসি

ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায় পার করছেন লিওনেল মেসি। সব ঠিক থাকলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লিওনেল মেসিকে হয়তো ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্তই দেখা যাবে। তবে আর্জেন্টিনায় ঘরের মাঠে মেসির ম্যাচ বিবেচনা করলে কিংবদন্তির শেষের লগ্নটা বোধহয় চলেই এল।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিই হতে পারে দেশের মাটিতে জাতীয় দলের জার্সিতে মেসির শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। দেশের মাটিতে মেসির বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ক্যারিয়ারে যে এটি শেষ ম্যাচ, সেটি এর আগে তিনি নিজেই বলেছেন, ‘এই ম্যাচটা আমার জন্য খুব, খুব বিশেষ। কারণ, এটা বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ (আর্জেন্টিনায়)।’

ঘরের মাঠে সম্ভাব্য এই শেষ ম্যাচের পর মেসির সামনে থাকবে আরেকটি ম্যাচ। ইকুয়েডরের মাঠে ১০ সেপ্টেম্বরের সেই ম্যাচ দিয়েই হয়তো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ক্যারিয়ারও শেষ করবেন মেসি। তবে তাঁর এই গোধূলিলগ্নেও হাতছানি দিয়ে ডাকছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের (কনমেবল) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড মেসির দখলে। এই মহাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মেসি সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করেছেন। মজার বিষয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এক সংস্করণে কখনো সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেননি ৩৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

এবার যেমন ৬ গোল করে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৭ গোল নিয়ে শীর্ষে কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজ। এখন তাঁর সামনে সুযোগ নিজের মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ম্যাচ খেলার তালিকায় সবার ওপরে ওঠার।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ৭১ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। আর একটি ম্যাচ খেললেই ছুঁয়ে ফেলবেন এই মহাদেশের বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ম্যাচ (৭২) খেলার রেকর্ড গড়া ইকুয়েডরের ইভান হুতার্দোকে, অর্থাৎ ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে এবারের বাছাইপর্বে দুটি ম্যাচ খেললে এই রেকর্ডও নিজের করে নেবেন মেসি। তখন তাঁর ম্যাচসংখ্যা হবে ৭৩। এই তালিকার তৃতীয় প্যারাগুয়ের পাউলো দা সিলভা (৬৬ ম্যাচ)। ৬৪ ম্যাচ খেলে চতুর্থ বলিভিয়ার মার্সেলো মোরেনো (৬৪ ম্যাচ)।