৩৫ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিতেছেন লিওনেল মেসি। ৩৬ বছর অপেক্ষার পর আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ-গৌরব। নিজেও খেলেছেন দুর্দান্ত, আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা হয়েই। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন ‘গোল্ডেন বল’।
মেসির হাতে বিশ্বকাপটা যেন বহু প্রতীক্ষারই ছিল। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন চারটি, একাধিক লা লিগা শিরোপা জিতেছেন। প্রতি মৌসুমে গোল করে গেছেন বিরামহীন। ব্যালন ডি’অর জিতেছেন সাত-সাতটি। ক্লাব ফুটবলে সম্ভব প্রায় সবকিছুই পাওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সিতে কিছুই পাচ্ছিলেন না। সেটিও পাওয়া শুরু করেছেন ২০২১ সাল থেকে।
১৯৯৩ সালের পর তাঁর অধিনায়কত্বেই আর্জেন্টিনা জেতে কোপা আমেরিকার ট্রফি। ইউরো শিরোপাধারী ইতালিকে উড়িয়ে দিয়ে আর্জেন্টিনা জিতেছে ‘কোপা ফিনালিসিমা’। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ পাওয়ার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন কিন্তু পাননি। এবার কাতারে সেটিও পেয়ে গেলেন। ফুটবল থেকে যা যা পাওয়ার, সবই পেয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বেজায় খুশি মেসি বিশ্বকাপ জেতায়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতায়। তবে লিভারপুল কোচের সবচেয়ে মনে ধরেছে যে বিষয়টি, সেটি হচ্ছে ৩৫ বছর বয়সে এসে মেসির এমন পারফরম্যান্স। তিনি মনে করেন, এটা দারুণ একটা বার্তা, ‘মেসি যে বয়সে বিশ্বকাপ জিতল, যে পারফরম্যান্স তাঁর, প্রমাণ হয়ে গেল একজন ফুটবলারের ক্ষমতা। বয়স কোনো ব্যাপার নয়। একজন ফুটবলার তাঁর ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ করতে পারে। তাই মেসি প্রমাণ করে দিয়েছে, কোনো খেলোয়াড়কে শেষ বলে দেওয়ার আগে ভাবতে হবে।’
আর্জেন্টিনার জন্যও ক্লপ আনন্দিত, ‘আর্জেন্টিনা উৎসব করছে বিশ্বকাপ জিতে। এটা দারুণ ব্যাপার। অনেক অপেক্ষার পর তাদের এই আনন্দ। বিশ্বকাপ গৌরবটা এমন একটা সময়ে এল, যখন তারা খুব কঠিন একটা সময় পার করছে।’
মেসিকে তাঁর সময়ের সেরা ফুটবলারই বলেছেন লিভারপুল কোচ, ‘মেসি আমার সময়ের সেরা ফুটবলার। তাঁর খেলা উপভোগ্য, আনন্দময়। মেসির আরও খেলে যাওয়া উচিত। সে আরও আনন্দ দেবে। তাঁর খুব শিগগিরই খেলা ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না।’