লিওনেল মেসির তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও এবং চিরো বেড়ে উঠছে। বিভিন্ন সময় ফুটবল প্রতিভার জন্য আলোচনায়ও আসে তারা। মেসির ছেলে হলেও ফুটবল মঞ্চে নিজেদের ছাপ ফেলতে চাইলে নিজ নিজ প্রতিভা দিয়েই তা করে দেখাতে হবে।
সেই লক্ষ্য নিজেদের প্রস্তুতিও সারছে তারা। সম্প্রতি ‘সিম্পলি ফুটবল’ অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিন ছেলেকে নিয়ে কথা বলেন মেসি। যেখানে তিন ছেলের মধ্যে ফুটবলীয় প্রতিভায় কে সেরা সেটা বলেননি তিনি, তবে তিনজনের কার কেমন গুণ, সেসব বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ইন্টার মায়ামি তারকা।
তিন ছেলেকে নিয়ে জানতে চাইলে মেসি বলেছেন, ‘তারা সারা দিন বল নিয়েই থাকে। তাদের সঙ্গে আমিও উপভোগ করি। প্রতিদিন অনুশীলন করে, লড়াই করে এবং ম্যাচ খেলে। তাদের সঙ্গে থাকার সুযোগ পাওয়াটা অসাধারণ ব্যাপার। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তারা খুবই সরল। আমি যদি এখন একজনের নাম বলি পরে তারা বলবে, “তুমি কেন তার নাম বললে।” তাই নামটা আমি নিজের কাছেই রাখি। তবে তিনজনই বেশ আলাদা।’
মেসির বড় ছেলে থিয়াগো। তাঁর বয়স ১২। থিয়োগোর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘থিয়াগো চিন্তাশীল, সংগঠক এবং একজন মিডফিল্ডার।’ আগামী সেপ্টেম্বরে দশম জন্মদিন পালন করবে মাতেও। মাঠে মেসির এই মেজ ছেলেকেই বেশি খুনসুটিতে মেতে থাকতে দেখা যায়। তাঁর বৈশিষ্ট্য নিয়ে মেসি বলেন, ‘মাতেও ফরোয়ার্ড, সে গোল করতে ও গোলের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে এবং সে একজন বুদ্ধিমান খেলোয়াড়।’
ছোট ছেলে অর্থাৎ সাত বছর বয়সী চিরোকে নিয়ে মেসির মন্তব্যটা এমন, ‘চিরো আরও বিস্ফোরক। সে চ্যালেঞ্জ জানাতে পছন্দ করে এবং একজন ওয়ান অন খেলোয়াড়। সে নিজের খেলা তৈরিতে বেশি আগ্রহী।’
মেসির বর্ণনা অনুযায়ী তিনজনই আলাদা আলাদা গুণাবলিসম্পন্ন এবং তাদের বয়সের ব্যবধানও বেশি নয়। এখন সামনের দিনে বাবার মতো জাদু দেখাতে পারলে তিনজনকেই হয়তো একসঙ্গে আর্জেন্টিনার জার্সিতে দেখা যাবে। মেসির জন্য নিশ্চিতভাবে সেটি অনন্য এক উপহারই হবে।
ছেলেদের আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলে মেসি বলেছেন, ‘তারা সব দেখে। সবাইকে জানে। তারা এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, হলান্ড, লেভানডফস্কি, লামিনের বিষয়ে কথা বলে। আশপাশের সবাইকে তারা অনুসরণ করে। তাদের মতো হতে চায় এমন না, তবে তারা সব জানে।’