পরিস্থিতি কি তাহলে আপাতত শান্ত হলো? নাকি নতুন কোনো ঝড়ের আভাস এটা? চাইলে সে রকম ভাবাই যায়। এল ক্লাসিকোতে বদলি হওয়ার পর নিজের আচরণের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে যাঁর সঙ্গে এই আচরণটা করেছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদের সেই কোচ জাবি আলোনসোর নামও নেননি তিনি ক্ষমা চাওয়ার বিবৃতিতে।
রোববার রাতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট বিশেক আগে ভিনিকে তুলে নেন আলোনসো, বদলি নামান রদ্রিগোকে। ভিনি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি কোচের সিদ্ধান্ত। মাঠ ছাড়ার সময় টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাঁর বিস্মিত মুখ, মুখে প্রশ্ন, ‘আমি? আমি? কোচ, আমি?’
তারপরই সোজা টানেলে চলে যান। হেঁটে যেতে যেতে যেন নিজেকেই বলছিলেন, ‘সব সময়ই আমি! আমি দল ছেড়ে দিচ্ছি, হ্যাঁ, আমি চলে যাচ্ছি।’ কিছুক্ষণ পর অবশ্য আবার ফিরে এসে বেঞ্চে বসেন ম্যাচের শেষ সময়টা দেখার জন্য। ম্যাচটা ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল।
ভিনির সেই আচরণ দেখে পরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, এমনকি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমেও। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি আসলেই ভিনিসিয়ুসকে পছন্দ করেন না আলোনসো? সব ম্যাচেই তাঁকে কেন বদলি করেন কোচ? ভিনিসিয়ুস জুনিয়র কি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার কথা ভাবছেন?
এ রকম প্রশ্ন ও কৌতূহলের মধ্যেই আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ভিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন, চেয়েছেন ক্ষমাও।
বিবৃতিতে ভিনি লিখেছেন, ‘ক্লাসিকোতে আমাকে বদলি করার পর আমি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি, সে জন্য আজ আমি “মাদ্রিদিস্তাদের” কাছে ক্ষমা চাইছি। আজকের অনুশীলনে আমি সতীর্থদের, ক্লাবের কাছে এবং সভাপতির কাছেও ক্ষমা চেয়েছি। কখনো কখনো আবেগ আমাকে গ্রাস করে ফেলে, কারণ আমি সব সময় জিততে চাই, দলকে সাহায্য করতে চাই। আমার এই প্রতিযোগিতামনস্ক মানসিকতা এসেছে এই ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থেকে, যা আমি হৃদয়ে ধারণ করি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—রিয়াল মাদ্রিদের ভালোর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাব, যেমনটা প্রথম দিন থেকেই করে আসছি।’
শেষ পর্যন্ত ভিনিসিয়ুসের এই ক্ষমা প্রার্থনায় যেন মাঠের বাইরের এক নাটকের পর্দা নামল। তবে আলোনসোর নাম না নেওয়াটা রয়ে গেল এক অদৃশ্য প্রশ্নচিহ্নের মতো।