Thank you for trying Sticky AMP!!

রিয়ালে যখন সতীর্থ ছিলেন জিদান ও রোনালদো

সাবেক সতীর্থকে নিয়ে জিদান—রোনালদো বলেকয়ে নাটমেগ করত

রোনালদো নাজারিও, জিনেদিন জিদান, রাউল গঞ্জালেস, রবার্তো কার্লোস, লুইস ফিগো, ইকার ক্যাসিয়াস...কী একটা দলই না ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। দলটিকে বলা হতো গ্যালাকটিকো বা নক্ষত্রপুঞ্জ। সেটাই তো বলার কথা। সেই সময়ের ফুটবল বিশ্বের প্রায় সব নক্ষত্রই তো তখন রিয়ালে!

টনি পার্কারের সঞ্চালনায় এসকে উইক অনুষ্ঠানের সর্বশেষ অধ্যায়ে রিয়ালের সেই নক্ষত্রপুঞ্জ, নিজের খেলোয়াড়ি আর কোচিং–জীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জিদান। ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কথা বলেছেন তাঁর সাবেক সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান তারকা রোনালদোর প্রতি নিজের মুগ্ধতা নিয়েও।

Also Read: মেসি মানেই ‘জাদু’, বললেন জিদান

রিয়ালের জার্সিতে রোনালদো নাজারিও

যেকোনো ম্যাচের আগেই রোনালদো খুব ফুরফুরে মেজাজে থাকতেন বলে জানিয়েছেন জিদান। এ ছাড়া রোনালদো ছিলেন খুবই আমুদে একজন মানুষ। সেই সময়ের কথা মনে করে জিদান বলেছেন, ‘রোনালদোর সঙ্গে থাকলে মজা হতোই। ম্যাচের আগে সে বলত, “আজ আমি দুবার নাটমেগ করব।” সে শুধু এটা বলতই না, করতও।’

জিদান কোনো অনুষ্ঠানে কথা বলবেন আর ১৯৯৮ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে আসবে না, সেটা কী করে হয়! খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালের হয়ে জিতেছেন একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর দলটির কোচ হিসেবে জিতেছেন ৩টি। তবে তার কাছে এই চারটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চেয়েও এগিয়ে ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়। জিদান বলেছেন, ‘এই অনুভূতির কোনো তুলনা হয় না।’

Also Read: ৭ বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনায় ব্রাজিলের ‘নতুন রোনালদো’

জিদান যখন রিয়ালের কোচ ছিলেন

খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর পরপরই জিদানকে কোচ করতে চেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু তৎক্ষণাৎ জিদান বলে দিয়েছিলেন, কখনোই কোচ হবেন না। কিন্তু পরে তাঁর পরিকল্পনায় বদল এসেছে। কোচিং–জীবনের শুরু করেন রিয়ালের যুব দল দিয়ে। এরপর রিয়ালের কঠিন সময়ে মূল দলের দায়িত্ব নিয়ে ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ জেতেন ১১টি শিরোপা।

এরপর আবার কোচিং–জীবন থেকে হঠাৎই সরে দাঁড়ান। সেই সময় বলেছিলেন, কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার কোচিংয়ে ফিরবেন। সেই ফেরা এখনো হয়নি। কোচিং নিয়ে জিদানের দর্শনটা কী, সেটাও বলেছেন অনুষ্ঠানে, ‘খেলোয়াড়ি আর কোচিং–জীবন সম্পূর্ণ আলাদা দুটি ব্যাপার। কারণ, একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনি শুধু নিজের দিকটাই দেখবেন...একজন কোচ হিসেবে আপনাকে ২৭ জন খেলোয়াড়ের একটি দলের দায়িত্ব নিতে হবে।’

Also Read: ফাইনালে মায়ামির হার দেখলেন মেসি, জিদান ও বেকহাম