বেকহামের বড় ছেলে ব্রুকলিন ও তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী নিকোলা পেল্টজ
বেকহামের বড় ছেলে ব্রুকলিন ও তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী নিকোলা পেল্টজ

বেকহাম পরিবারে কি সত্যিই ভাঙন ধরেছে, কী বলছেন বেকহামের ছেলে

বেকহাম পরিবারে কি সত্যিই ভাঙন ধরেছে?
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি ডেভিড বেকহাম ও তাঁর স্ত্রী সাবেক স্পাইস গার্লস তারকা ভিক্টোরিয়ার বড় ছেলে নাকি পরিবার থেকে দূরে সরে গেছেন। মা–বাবা, ভাইবোন—কারও সঙ্গেই নাকি তেমন যোগাযোগ নেই তাঁর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে তাঁদের এই পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে নানা কিছু লেখা হচ্ছে কয়েক মাস ধরে। অবশেষে এটা নিয়ে মুখ খুলেছেন বেকহাম-ভিক্টোরিয়ার বড় ছেলে ব্রুকলিন। তাঁর দাবি, এসব স্রেফ মিথ্যা কথা। পরিবার হিসেবে তাঁরা সুখেই আছেন।

বেকহাম-পরিবারে এই কথিত দ্বন্দ্ব নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয় গত মে মাসে, ডেভিড বেকহামের ৫০তম জন্মদিনে ব্রুকলিন অনুপস্থিত থাকায়। বেকহাম নিজে তো বিশ্বখ্যাত তারকা, পাশাপাশি তিনি মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিরও মালিক। যেখানে খেলেন আরেক মহাতারকা লিওনেল মেসি। ফলে এবার বেকহামের জন্মদিনে রীতিমতো তারার হাট বসেছিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বেকহামের বড় ছেলে ব্রুকলিন ও তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী নিকোলা পেল্টজকে। তবে সে পার্টিতে ছিলেন ব্রুকলিনের দুই ভাই রোমিও ও ক্রুজ এবং বোন হার্পার।

বেকহামের ৫০তম জন্মদিনে তাঁর পরিবারের সদস্যরা

তখনই প্রশ্ন ওঠে, বেকহাম পরিবারের ভেতরে কি সব ঠিকঠাক আছে? অনেকে দাবি করেন, ব্রুকলিন নাকি মা–বাবার সঙ্গে আর কথা বলেন না। শুধু তা–ই নয়, গুঞ্জন আছে, ভাইদেরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্লক করে দিয়েছেন তিনি।


কিন্তু গত জুলাইয়ে বোন হার্পারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি ব্রুকলিন। তাঁর স্ত্রী, মার্কিন অভিনেত্রী নিকোলা পেল্টজও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে গুঞ্জন আরও ডালপালা মেলে সম্প্রতি। কিছুদিন আগে বিয়ের শপথ নবায়ন করেছেন ব্রুকলিন-নিকোলা। সে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি বেকহাম, ভিক্টোরিয়া কিংবা পরিবারের অন্য কেউ।

পুরো বেকহাম পরিবার

তবে এগুলোকে স্রেফ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ২৪ বছর বয়সী ব্রুকলিন। সম্প্রতি রাইডার কাপের আগে নিউইয়র্কে একটি গলফ টুর্নামেন্টে অংশ নেন ব্রুকলিন, যেখানে তিনি ‘টিম ইউএসএ’র বিপক্ষে ‘টিম ইউরোপ’-এর হয়ে খেলেন। টুর্নামেন্ট চলাকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া ব্রুকলিনকে তাঁর পরিবারের এই কথিত দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তবে ব্রুকলিন এসব বিষয়কে তেমন পাত্তা দেননি। তাঁর কথা, ‘কিছু মানুষ সব সময় বাজে কথা বলবেই। এগুলো নিয়ে আমরা ভাবি না। আমার পাশে আমার স্ত্রী আছে। আমরা নিজেদের কাজ করি, নিজের মতো থাকি। আমরা এতেই সুখী।’
বাইরের মানুষের কথায় কান দেন না, এ দাবি করে ব্রুকলিন বলেন, ‘কিছু মানুষ সব সময় বাজে কথা বলবেই। আমি শুধু গলফ খেলি আর বন্ধুদের সঙ্গে মজা করি। এটা আমি উপভোগ করি।’