প্রথম সবকিছুর মূল্য একটু আলাদা। বাংলাদেশের জার্সিতে কাল শমিত সোম পেয়েছেন প্রথম গোলের দেখা। যে গোলে ম্যাচে ৩-৩ সমতা আনে বাংলাদেশ। তবে এই বিশেষ গোলের পর তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ খুব একটা পাননি শমিত।
এক মিনিট পরই হংকং আরেকটি গোল করে নাটকীয়ভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে! নিজের প্রথম গোলের ম্যাচে তাই বাংলাদেশকে ৪-৩ গোলে হারতে দেখেছেন শমিত। গোল পেয়েও ম্যাচ হারায় ম্যাচশেষে নিজের আক্ষেপের কথা বলেছেন এই মিডফিল্ডার।
কাল শমিত গোল করেন ম্যাচের ৯৮তম মিনিটে। ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্ত তখন। মোরছালিনের কর্নার হংকংয়ের এক ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে বল ভেসে যায় দূরের পোস্টে, সেখান থেকেই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন শমিত।
ম্যাচ তখন ৩-৩ সমতায়, সমতার উল্লাসে মেতে ওঠে জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি। তবে সমতা আনতে না আনতে আবারও গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। তাতেই লেখা হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
ম্যাচশেষে সম্প্রচার চ্যানেলে নিজের হতাশার কথা জানান শমিত। তিনি বলেছেন, ‘শেষ মুহূর্তে গোল দিতে পারায় রোমাঞ্চিত। দেশের হয়ে গোল দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তবে দিন শেষে আমি গোল না পেয়েও যদি বাংলাদেশ জিতত তাহলে ভালো হতো। দল না জিতলে গোলের মানে নেই। তাও খুশি গোল দিতে পারায়। আর এই অনুভূতিটা কোনো দিন ভুলব না। তবে মন খারাপ, ম্যাচ টাই করলে ভালো লাগত। যদি জিততাম আরও ভালো লাগত।’
শেষ মুহূর্তে হজম করা গোল থেকে শেখার কথা বলেছেন শমিত, ‘আসলে গোলটা দ্রুত হয়ে গেছে, কেন হলো তা ওভাবে ভেবে দেখিনি। তবে এটা থেকে আমরা শিখব। ইতিবাচক দিক হলো আগে কখনো চিন্তা করা যেত না ১-৩ পিছিয়ে থেকেও আমরা ফিরে আসব। আমাদের দলে অনেক ক্যারেক্টার আছে, অনেক প্যাশন আছে। আমরা হাল ছাড়ব না। এটা একটা ফাউন্ডেশন—এখান থেকে আমরা শিখব।’
২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত জয়হীন বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ড্র দিয়ে শুরুর পর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল দল। এ নিয়ে বাংলাদেশ বাছাইয়ে টানা দুই ম্যাচে হারল।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও বাংলাদেশ নিজেদের ভুলে গোল হজম করেছিল। এর ধারাবাহিকতা ছিল কালও। শমিত নিজেও বলছেন এত সহজে গোল দেওয়া যাবে না। তিনি বলেছেন, ‘সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এভাবে গোল হজম করেছি। এগুলো থেকে শিখতে হবে। এমন ইজি গোল দেওয়া যাবে না। এমন ইজি গোল দিলে খেলায় জেতা যাবে না। শিখতে হবে কিছু করার নাই। সবাই জানে কী করতে হবে, আমরা ভিডিও রিভিউ করব। কোচ শেখাবে কীভাবে ব্যাকলাইন, মিডফিল্ডে আরও ভালো ডিফেন্ড করতে পারি। দিন শেষে এটা সবার দায়িত্ব। এটাই ফুটবল। উত্থান-পতন থাকবে। ওদের সুযোগ ছিল, আমাদের ছিল। এটাই ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল, বোঝাই যাচ্ছে এটা ক্লাব ফুটবল থেকে ভিন্ন।’