Thank you for trying Sticky AMP!!

গারনাচোর অবিশ্বাস্য গোল

আর্জেন্টাইন তরুণের অবিশ্বাস্য গোলে ইউনাইটেডের দারুণ জয়

অবিশ্বাস্য! যাঁরা গোলটি দেখেছেন তাঁরা তো বটেই, এমনকি যিনি গোলটি দিয়েছেন, সেই আলেসান্দ্রো গারনাচোরও মনে হয় বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো। হওয়ারই কথা। এমন গোল কি প্রতিদিন করা যায়! এভারটনের বিপক্ষে আজ ম্যাচের শুরুতে তেমনই এক গোল করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন তরুণ। তাঁর গোলের পর ম্যাচে ইউনাইটেড জিতেছে ৩–০ গোলের বড় ব্যবধানে।

এভারটনের মাঠে এদিন খেলা শুরুর পর দুই দল কেবলই নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছিল। আর তখনই গোটা গুডিসন পার্ককে স্তব্ধ করে দিলেন গারনাচো। ৩ মিনিটের মাথায় দিয়েগো দালতের ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত এক ওভারহেড কিকে মৌসুমের তো বটেই, প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের সেরা গোলের একটি করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।

গোলের পর নিজের আদর্শ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘সিউ’ উদ্‌যাপনও করেন গারনাচো। এই গোলের পর এভারটন সমর্থকেরা নীরব হয়ে পড়লেও খেলা দেখতে আসা ইউনাইটেড সমর্থকেরা ‘ভিভা গারনাচো’ স্লোগানে মাতিয়ে দিয়েছিল গোটা স্টেডিয়াম। গোলটি করার পরপরই বিবিসি লাইভে গোলটিকে ওয়েইন রুনির বিখ্যাত সেই ওভারহেড কিকে করা গোলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।  

Also Read: গারনাচোর মধ্যে তরুণ রোনালদোর ছায়া

শুরুতে গোল করে এগিয়ে গেলেও আক্রমণের ধারা থেকে সরে আসেনি ইউনাইটেড। অন্যদিকে এভারটনেরও চেষ্টা ছিল দারুণ কিছু করে ম্যাচে ফেরার। দুই দলের এমন মরিয়া চেষ্টার কারণে জমে ওঠে ম্যাচ। এর মধ্যে ৯ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারত এভারটন। স্বাগতিকদের আক্রমণ দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। একটু পর ইউনাইটেডের একটি প্রচেষ্টা চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধে অবশ্য দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল এভারটন। একাধিকবার গোলের খুব কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর পাওয়া হয়নি।

ইউনাইটেডের গোল উদ্‌যাপন

বিরতির পরও এভারটন চেষ্টা করে ম্যাচে ফিরতে। কিন্তু ৫৬ মিনিটে ইউনাইটেডকে উল্টো পেনাল্টি উপহার দিয়ে আরও পিছিয়ে পড়ে তারা। স্পট কিক থেকে গোল করে ইউনাইটেডকে ২–০ গোলে এগিয়ে দেন মার্কাস রাশফোর্ড।

Also Read: টিভিতে যাঁকে দেখেছেন, সেই মেসির সতীর্থ হয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না গারনাচোর

দুই গোলে পিছিয়ে পড়া এভারটন তৃতীয় গোলটি হজম করে ৭৫ মিনিটে। এবারের গোলটি আসে আন্তোনি মার্শিয়ালের কাছ থেকে। এরপর চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি এভারটন। পুরো ম্যাচে অবশ্য বল দখল, আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে ইউনাইটেডের চেয়ে এগিয়েই ছিল তারা। কিন্তু গোল করার আসল কাজটাই করতে পারেনি।

এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৬ নম্বরে উঠে এল ইউনাইটেড। আর ১৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে আছে এভারটন।