২০২০ এবং ২০২১ সালে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তবে ক্যারিয়ারের চূড়ায় থেকেও শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি ব্যালন ডি’অর জেতা হয়নি। এর মধ্যে ২০১৯-২০ মৌসুমের পুরস্কার অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায় করোনা মহামারির কারণে। সেবার সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ গোল করেছিলেন এ পোলিশ স্ট্রাইকার। আর লেভার দল বায়ার্ন মিউনিখ জিতেছিল ঐতিহাসিক ‘ত্রিমুকুট’।
এমন সাফল্যের পরও পুরস্কার বাতিল হওয়ায় সেবার হতাশা নিয়েই থাকতে হয় এ স্ট্রাইকারকে। পরের বছর পুরস্কারটি উঠেছে লিওনেল মেসির হাতে। তখন বার্সেলোনায় খেলা মেসির সেটি ছিল সপ্তম ব্যালন ডি’অর। সেবার অবশ্য মেসির ব্যালন ডি’অর জেতা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল, যা নিয়ে পরে নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়ান মেসি ও লেভাও।
তবে ‘স্পোর্ট বিল্ড’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০২০ সালের পুরস্কার নিজের দাবি করলেও, ২০২১ সালে মেসিকেই যোগ্য মনে করার কথা জানিয়েছেন লেভানডফস্কি। এমনকি ২০২০ সালের পুরস্কার এখন দিলেও সেটি গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন এই পোলিশ তারকা।
পুরস্কার না জেতা নিয়ে আক্ষেপ নেই জানিয়ে লেভা বলেছেন, ‘অবশ্যই কোনো এক পর্যায়ে আমি ব্যালন ডি’অর জিততে পারতাম। তবে ব্যাপারটা এমন না যে এই ট্রফিটি এখনো না জেতায় আমি ক্ষুব্ধ বা হতাশ। তবে ২০২০ কিংবা ২০২১ সালে পুরস্কারটি আমার হতে পারত। এ দুই বছর ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর।’
২০২০ সালের পুরস্কারটি এখন দিলেও গ্রহণ করবেন জানিয়ে লেভা আরও বলেছেন, ‘২০২১ সালে পুরস্কারটা মেসির ছিল। আমি লক্ষ করেছি যে ২০২০ সালের পুরস্কার পরে দেওয়া নিয়ে গুজব আছে। সেই বছরটি আমার জন্য অসাধারণ ছিল। আমি আমার সেরা অবস্থানে ছিলাম। আমরা সেবার সবকিছু জিতেছিলাম। যদি চার বছর পর আমাকে ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয় আমি কিছু মনে করব না। সেটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের হবে।’
এর আগে ২০২০ সালের পুরস্কারটি লেভানডফস্কির পাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন মেসিও। লেভাকে উদ্দেশ্য করে আর্জেন্টাইন এ মহাতারকা সে সময় বলেছিলেন, ‘রবার্ট, এটা বিশ্বাস করি যে গতবারের (২০২০ সাল) ব্যালন ডি’অর বিজয়ী তুমিই ছিলে। আমার মনে হয়, ফ্রান্স ফুটবলের উচিত তোমাকে ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অরটি দিয়ে দেওয়া। এটা তোমার প্রাপ্য।’