Thank you for trying Sticky AMP!!

গোল্ডেন গ্লাভ হাতে মার্তিনেজ

নিজের স্বপ্নপূরণের চিত্রনাট্যে রোমাঞ্চিত মার্তিনেজ

এমন নাটকীয়তা হতে পারে কোনো ফুটবল ম্যাচে!

বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে সবার কল্পনাও যেন হার মেনেছে এই ম্যাচের নাটকের কাছে। ১২০ মিনিট ধরে কে যেন অলক্ষ্যে বারবার বদলে দিচ্ছিলেন ম্যাচের চিত্রনাট্য। কখনো আর্জেন্টিনার দিকে হেলে পড়া, কখনোবা ফ্রান্সের দিকে। মেসির পেনাল্টি আর দি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে প্রথমার্ধেই যে ম্যাচকে একপেশে মনে হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনা সহজেই, হেসেখেলে জিতে যাবে বিশ্বকাপ, সেই ম্যাচই দ্বিতীয়ার্ধে এসে আমূল বদলে গেল।

Also Read: বিশ্বসেরা মেসির হাতেই বিশ্বকাপ

ফ্রান্স পেনাল্টি পেল, কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করলেন। পরক্ষণেই এমবাপ্পে আর্জেন্টাইনদের হৃদয় ভেঙে এমবাপ্পে ফ্রান্সকে ফেরালেন সমতায়। অতিরিক্ত সময়ে আবারও মেসি ত্রাণকর্তার ভূমিকায়। এগিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু সেটিও থাকল না। আরেক পেনাল্টিতে এমবাপ্পে হ্যাটট্রিকই করে বসলেন। ৩–৩ সমতায় সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ ফাইনাল চলে গেল টাইব্রেকারে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক

এই এপিসোডের নায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পেনাল্টি ঠেকিয়ে তিনিই আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপার নাগাল পাইয়ে দিলেন। এই মার্তিনেজই খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে রান্দাল কোলো মুয়ানিকে গোল থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। সেটিকে বিশ্বকাপের সেরা সেভ বললেও কম বলা হয় হয়তো।

Also Read: চূড়ায় ওঠার রাতে রেকর্ডের বরপুত্র মেসি

মার্তিনেজ খেলা শেষে সেই কথাই আবার বললেন। আর্জেন্টিনা কখনো সহজে কিছু পায় না। বিশ্বকাপটাও আর্জেন্টিনার হাতে ধরা দিল অনেক সংগ্রামের পর, ‘ম্যাচটায় আমরা অনেক সংগ্রাম করেছি। অনেক ভুগেছি। দুটি ভুলে ফ্রান্স খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনল। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। এরপর আমি আমার কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছি। আমি সেটিই করতে পেরেছি, যে স্বপ্ন আমি দেখেছি।’

Also Read: ‘আর্জেন্টাইন ইতিহাসে অমর থেকে যাব’

নিজের স্বপ্নপূরণের চিত্রনাট্যে মুগ্ধ, রোমাঞ্চিত মার্তিনেজ, ‘এর চেয়ে দুর্দান্তভাবে আমি আমার বিশ্বকাপের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতাম না। পেনাল্টির সময় আমি খুব শান্ত থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখেই নিজের কাজটা করেছি।’