খেলা শুরু হতে না হতেই ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া। বিরতির একটু পর হজম করতে হলো আরও এক গোল। ৪৮ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হার তখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। তবে এটা যে বদলে যাওয়া ইউনাইটেড।
এত সহজে হার মানবে কেন! আজ রাতেও মানেনি। লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত এক গল্প লিখে তারা ম্যাচটা ড্র করেছে ২-২ গোলে। ২-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর এই ড্র এরিক টেন হাগের দলের জন্য জয়ের সমানই।
এই ম্যাচটা জিততে পারলে সেটা অবশ্য লিডসের জন্য বড় পাওয়াই হতো। টানা ব্যর্থতার দায়ে সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন কোচ জেসে মার্শ। দলটিও এখন ঘোরাফেরা করছে অবনমন অঞ্চলের আশপাশে। এমন পরিস্থিতিতে ইউনাইটেডকে হারাতে পারলে আত্মবিশ্বাসের পালেও বড় হাওয়া লাগত।
ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে পলক ফেলতেই গোল খেয়ে বসে ইউনাইটেড। স্বাগতিক রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়ে লিডসকে লিড এনে দেন উইলফ্রায়েদ নেনতো। এগিয়ে গিয়েও আক্রমণ থামায়নি লিডস। তবে পরের প্রচেষ্টাগুলো আর আলোর মুখ দেখেনি। এর মাঝে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় ইউনাইটেড।
তবে গোল যেন এদিন সোনার হরিণ। কিছুতে ধরা দেওয়ার নয়। ১৬ মিনিটে ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচে গোলের জন্য প্রথম প্রচেষ্টাটি চালান সাবিতজার। তবে আলোর মুখ দেখেনি। ২৭ মিনিটে ইউনাইটেডের হয়ে আলেকজান্ডার গারানচোর নেওয়া শট শেষ মুহূর্তে গোল লাইন থেকে ঠেকিয়ে নস্যাৎ করে দেন লিডস ডিফেন্ডার। বিরতির আগে আরও কয়েকবার চেষ্টা করে কিন্তু গোলের দেখা পায়নি ‘রেড ডেভিল’রা।
উল্টো বিরতি থেকে ফিরে এসে আরও এক গোল হজম করে ইউনাইটেড। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তখন তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার পথে। এমন পরিস্থিতিতে হেডে দারুণ এক গোল করে ব্যবধান কমান ছন্দে থাকা মার্কাস রাশফোর্ড। এটি প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে রাশফোর্ডের টানা ৬ষ্ঠ ম্যাচে গোল। এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে টেন হাগের দল। শেষ পর্যন্ত ৭০ মিনিটে জাদোন সানচোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইউনাইটেড। এই গোলটিতেই মূলত হার এড়িয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
এই ড্রয়ে ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৩ নম্বরে এখন ইউনাইড। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ২০ ম্যাচে ৫০। ২১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে আছ ম্যানচেস্টার সিটি।