
২০১৪ সালে বার্সেলোনার প্রধান কোচ হওয়ার পর দলে একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের অভাব অনুভব করেছিলেন লুইস এনরিকে। তাঁর অনুরোধে সে বছরই ভ্যালেন্সিয়া থেকে নিয়ে আসা হয় জেরেমি ম্যাথিউকে।
এনরিকের কোচিংয়ে এরপর ইতিহাস গড়ে বার্সা। দুই বছরের মধ্যে জিতে নেয় সম্ভাব্য সব শিরোপা। ২০১৫ সালে ‘ট্রেবল’ (চ্যাম্পিয়নস লিগ, লা লিগা, কোপা দেল রে) জয়ের পাশাপাশি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় কাতালান ক্লাবটি।
পরের বছর লা লিগা ও কোপা দেল রে শিরোপা ধরে রাখার পর স্প্যানিশ সুপার কাপের ট্রফি নিয়েও উৎসব করেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। বার্সার সর্বজয়ী দলের সদস্য হিসেবে উৎসবে মেতেছিলেন ম্যাথিউও।
সেই ম্যাথিউ এখনো খেলাধুলার সঙ্গেই আছেন, তবে অন্য ভূমিকায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে ম্যাথিউকে তাঁর দেশ ফ্রান্সের একটি ক্রীড়াসামগ্রীর দোকানে দেখা যায়। গলায় ঝোলানো ছিল পরিচয়পত্র।
ফ্রান্সের ক্রীড়া দৈনিক লে’কিপ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ৪১ বছর বয়সী ম্যাথিউ বর্তমানে সেই দোকানের কর্মী। দোকানের যে অংশে ফুটবলসামগ্রী রাখা আছে, সেখানকার ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। লে’কিপ সেই দোকানের ঠিকানাও দিয়েছে। ফ্রান্সের একস আঁ প্রোভাঁস ও মার্শেই শহরের মাঝামাঝি জায়গায় ইন্টারস্পোর্ট নামের কোম্পানির এই শাখার অবস্থান।
ঠিকানা জানার পর স্থানীয় লোকজন দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। শত শত ফুটবলপ্রেমী ইন্টারস্পোর্টের সেই শাখায় ফোন দিয়ে ম্যাথিউর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে রেখেছেন। গত শনিবার বার্সার সর্বজয়ী এই ফুটবলার ছিলেন দোকানের প্রধান আকর্ষণ। অনেক ক্রেতা তাঁর সঙ্গে ছবিও তুলেছেন।
২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্তিং লিসবনে যোগ দেন জেরেমি ম্যাথিউ। ২০২০ সালের জুনে অনুশীলনের সময় বাঁ হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পান। তাঁর খেলোয়াড়ি জীবন সেদিনই শেষ হয়ে যায়।