Thank you for trying Sticky AMP!!

মিলানকে হারিয়ে সিরি আর শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর ইন্টার মিলানের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

মিলানকে হারিয়ে ইন্টারের ২০তম শিরোপা, ইনজাগির প্রথম

২৪ বছর পর আবার সিরি আর শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন সিমোনে ইনজাগি। এবার অবশ্য কোচ হিসেবে। গতকাল রাতে এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরি আর শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান। ক্লাবটির ইতিহাসে এটি ২০তম স্কুডেট্টো বা সিরি আ শিরোপা। আর ৮ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ইনজাগির এটা প্রথম সিরি আ শিরোপা। ইনজাগি এর আগে খেলোয়াড়ি জীবনে ২০০০ সালে সিরি আ জিতেছিলেন লাৎসিওর হয়ে।

মিলান ডার্বিতে জিতলেই শিরোপা—এটা জেনে মাঠে নেমে ১৮ মিনিটেই অ্যাসার্বির গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার। ৪৯ মিনিটে মার্কাস থুরামের গোল ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ৮০ মিনিটে তোমোরির গোলে ব্যবধান কমায় মিলান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ইন্টারের শিরোপা জয় বিলম্বিত করতে পারেনি।

Also Read: কৌশলের লড়াইয়ে গার্দিওলাকে কি হারাতে পারবেন ইনজাগি

ইন্টার মিলানের কোচ সিমোনে ইনজাগি

কোচ হিসেবে সিরি আতে প্রথম শিরোপা জিতলেও এর আগে অন্য প্রতিযোগিতায় সাফল্য ঠিকই পেয়েছেন সিমোনে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে সিমোনে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন লাৎসিওতে। ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সেখানে তিনি জেতেন ৩টি শিরোপা—দুটি ইতালিয়ান সুপার কাপ, একটি ইতালিয়ান কাপ। ২০২১-২২ মৌসুমে দায়িত্ব নেন ইন্টারের। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মৌসুমেই ইন্টারকে জেতান ইতালিয়ান কাপ। পরের মৌসুমে শিরোপাটি ধরে রাখেন তিনি। এ ছাড়া ইন্টারের হয়ে টানা তিন বছর জেতেন ইতালিয়ান সুপার কাপ।

৪৮ বছর বয়সী ইনজাগি নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত যা পেয়েছেন, তা নিয়ে খুশিই। বিশেষ করে ইন্টার মিলানের ডাগআউটে নিজের অর্জন নিয়ে তিনি বেশ সন্তুষ্ট। কাল সিরি আর শিরোপা জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘তিন বছরে ছয়টি ট্রফি জয় এবং একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলা, এতটা সাফল্য পাওয়ার কল্পনা করা কঠিনই। আপনাকে পুরো তিন বছরকে একসঙ্গে দেখতে হবে। এ বছর আমাদের ভালো কেটেছে। কিন্তু এই জয়ের পথ অনেক লম্বা সময় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।’

ইন্টারের ডাগআউটে দাঁড়ানো কোচদের মধ্যে একটি অর্জনের ছোট্ট তালিকায়ও নাম লিখিয়েছেন ইনজাগি। মিলানের বিপক্ষে গতকালের জয়টি ইন্টারের ডাগআউটে ছিল সিমোনের ১০০তম। এর আগে ইন্টারের কোচ হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন শুধু চারজন—হেলেনিও হেরেরা, রবার্তো মানচিনি, জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনি ও আরপাদ ভেইস।