বিচিত্রিতা

৩৫-০ গোলে জিতে বিশ্ব রেকর্ড, আধঘণ্টা পরই হাতছাড়া

রেকর্ড মানেই ভাঙা-গড়ার খেলা। অনেক রেকর্ড যুগের পর যুগ টিকে থাকে, আবার অনেক রেকর্ড ভেঙে যায় কয়েক ঘণ্টাতেই। ১৮৮৫ সালে ১২ সেপ্টেম্বর ফুটবলের এক বড় রেকর্ড হাতবদল হয়েছিল আধঘণ্টার মধ্যেই।

স্কটিশ কাপের প্রথম রাউন্ডে এবারডিন রোভার্সকে ৩৫-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে সবচেয়ে বড় জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল ডান্ডি হার্প। এই ম্যাচর শুরু আধঘণ্টা পর আরেক ভেন্যুতে শুরু হয়েছিল একই টুর্নামেন্টের আরব্রথ ও বন অ্যাকর্ড ক্লাবের ম্যাচ। বন অ্যাকর্ডকে ৩৬-০ গোলে হারিয়ে হার্পের রেকর্ড কেড়ে নেয় আরব্রথ।

ওই দুই ম্যাচে গোলের হিসাব রাখতে হিমশিম খেয়েছেন রেফারিরা। রেফারির হিসাবে হার্পের গোলসংখ্যা ছিল ৩৭। তবে হার্পের এক কর্মকর্তা রেফারিকে বলেন, তাঁরা আসলে ৩৫ গোল দিয়েছেন, তাঁর কাছে সেই হিসাব আছে। রেফারি সেটি মেনেই ৩৫-০ করেন চূড়ান্ত স্কোর। ওই কর্মকর্তা তখন যদি জানতেন, আধঘণ্টাও টিকবে না তাঁদের রেকর্ড, গোলসংখ্যা কমাতেন কি না, কে জানে!

৩৬ গোল দিয়ে রেকর্ড গড়া আরব্রথ অবশ্য দাবি করেছিল, তারা আরও বড় ব্যবধানে জিতেছে, রেফারি অন্যায়ভাবে ৭টি গোল হিসাব থেকে বাদ দিয়েছেন।

আরব্রথের বিশ্ব রেকর্ডটা টিকে ছিল ১১৭ বছর। ২০০২ সালে মাদাগাস্কারের ঘরোয়া ফুটবলে এএস আদেমা ১৪৯-০ গোলে হারায় এসও আই’এমিরনেকে।

নিজেদের আগের ম্যাচে রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে গোল খেয়ে ড্র করে শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছিল আই’এমিরনে। সেটির প্রতিবাদেই পরের ম্যাচে নিজেদের জালেই ১৪৯টি আত্মঘাতী গোল দেয় আই’এমিরনে।