Thank you for trying Sticky AMP!!

আল নাসরের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন জিনেদিন জিদান

আল নাসর কোচ হিসেবে রোনালদোর পছন্দ জিদান

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পছন্দ করছিলেন না। আল নাসরের মাঠের পারফরম্যান্সও ভালো হচ্ছিল না, দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে আল নাসর কোচ রুডি গার্সিয়াকে সরে যেতেই হলো।

খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। সম্প্রতি সৌদি প্রো-লিগে ১১তম স্থানে থাকা আল ফেইহার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে লিগ লড়াইয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে আল নাসর। এর মধ্যেই কোচ সম্পর্কে রোনালদোর আপত্তি ব্যাপারটাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কোচ ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আল নাসর। গত জানুয়ারিতে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর আল ফেইহার বিপক্ষে ড্র করার পরই প্রথম প্রকাশ্যে আসে রোনালদোর সঙ্গে গার্সিয়ার দ্বন্দ্বের বিষয়টি। আপাতত ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ দিনকো জেলিচিচ গার্সিয়ার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবেন।

Also Read: রোনালদোদের নিয়ে খুশি নন আল নাসর কোচ

এদিকে পূর্ণ মেয়াদে আল নাসরের নতুন কোচ কে হবেন, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। নাম এসেছে জোসে মরিনিও ও জিনেদিন জিদানের। নতুন কোচ নিয়োগের আলোচনায় রোনালদোর মতামতও গুরুত্বপূর্ণ—এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সিবিএস।

Also Read: চলেই যেতে হলো রোনালদোদের কোচ রুডি গার্সিয়াকে

সৌদি আরবের আল নাসরে কোচই সরিয়ে দিয়েলন রােনালদো

সিবিএসের তথ্যানুযায়ী, সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর মরিনিও, জিদান দুজনের প্রতিই আগ্রহী। জিদানকে নাকি মৌখিক প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। রোনালদোর আগ্রহও যথেষ্ট। পর্তুগিজ তারকা খুব করে চান রিয়াল মাদ্রিদে তাঁর সাবেক কোচকে সৌদি আরবে নিয়ে আসতে।

Also Read: এবার আল নাসর কোচকে পছন্দ হচ্ছে না রোনালদোর

এদিকে, ইংলিশ ক্লাব টটেনহামও জিদানকে কোচ হিসেবে চাইছে। আন্তোনিও কন্তের বিদায়ের পর তাদের কোচের পদটা এই মুহূর্তে খালি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে একমাত্র কোচ হিসেবে টানা তিনটি শিরোপা জেতানো জিদানের লক্ষ্য ছিল ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচের পদই। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ফ্রান্স কোচের পদে দিদিয়ের দেশমকে ২০২৬ পর্যন্ত রেখে দিচ্ছে। এ ঘটনার সময়ই জিদানকে নিয়ে ফরাসি ফুটবলে তুলকালাম কম হয়নি। দিদিয়ের দেশমকে ২০২৬ পর্যন্ত ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়ার পর আরএমসি স্পোর্টসকে একটি সাক্ষাৎকার দেন গ্রায়েত। সেখানে প্রধান কোচের অন্যতম দাবিদার জিনেদিন জিদানকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বেশ কয়েকটি বিরূপ মন্তব্য করেন এফএফএফের প্রধান নোয়েল এল গ্রায়েত, যার একটি ছিল এ রকম, ‘জিদান যদি আমাকে ফোন করত, তাহলে কী হতো? নিশ্চিতভাবে কিছুই হতো না। আমি ওর ফোনই তুলতাম না।’ এ জন্য গ্রায়েতকে ফ্রান্স ফুটবলের প্রধানের পদ থেকেই পদত্যাগ করতে হয়।