Thank you for trying Sticky AMP!!

লিওনেল মেসি

মেসিকে তাতিয়ে দেয় ফন গালের সেই ‘অপমান’

ভুলটা তাহলে লুইস ফন গালই করলেন!

চিরকালের বিনয়ী লিওনেল মেসিকে খুঁচিয়েছেন। এমনিতে মেসিকে সাধারণত রাগতে দেখা যায় না। তবে আঁতে ঘা লাগলে মেসিও যে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন, তার বড় উদাহরণ তো কালকের ম্যাচই।

মেসির সঙ্গে ফন গালের লড়াইটা নতুন নয়। সাধারণত যেকোনো ম্যাচের আগে লড়াইটা হয় ফুটবলার বনাম ফুটবলার, কোচের সঙ্গে কোচের। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মেসি বনাম ফন গাল—এমন লড়াইয়ের আবহটা কিন্তু ছিল।

Also Read: মেসির জন্য মরতে গিয়ে তিনি আর্জেন্টিনাকে ‘জীবন’ দিলেন

ফন গালের মেসিকে আটকে রাখার অতীত রেকর্ডও আছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তখনো নেদারল্যান্ডসের কোচ ফন গালই ছিলেন। তিনি মেসিকে রক্ষণে ঢুকতে না দিয়ে নিচে আটকে রেখেছিলেন। তাঁর পেছনে লাগিয়েছিলেন নাইজেল ডি ইয়ংকে এবং সেটি কার্যকর হয়েছিল। গোটা ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন মেসি।

সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই কি না, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডাচ কোচ বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনার পায়ে যখন বল থাকে না, মেসি তখন কিছুই করেন না। এটাকেই কাজে লাগাতে চান।’ মেসি কথাটা মোটেই ভালোভাবে নেননি।

গোল ও গোলে সহায়তা দুটোই করেছেন মেসি

Also Read: মেসির দাবি, রেফারি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ছিল

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কাল রাতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফন গালের তাঁকে আটকানোর কৌশল তো ভেঙেছেনই, সঙ্গে ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ফন গালের ওই কথাতে তিনি অপমানিত হয়েছেন, ‘ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফন গালের এ কথায় আমি অপমানিত বোধ করেছি। খেলার সময়েও অনেক ডাচ ফুটবলার বেশি কথা বলেছে। ফন গাল মনে করেন, সে ভালো ফুটবল খেলায়। প্রতিপক্ষের বক্সে ফরোয়ার্ড রেখে লম্বা লম্বা পাস দেওয়ায়। কিন্তু আমরাই সেমিফাইনালে খেলার যোগ্য ছিলাম এবং সেটাই হয়েছে।’

Also Read: প্রথমে মেসি, পরে মার্তিনেজ

নির্ধারিত সময় ২-২ গোলে সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও সমতায় থাকে দুই দল। সে সময়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটাকে টাইব্রেকারেই নিতে চেয়েছে তারা। এমনটা অবশ্য দাবি করছেন আর্জেন্টিনাকে জেতানোর আরেক নায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তাঁর দাবি, ফন গাল ফুটবলারদের বলেছেন, আমরা পেনাল্টি হলে এগিয়ে থাকব। টাইব্রেকারে আমরা জিতে যাব। ফন গালের এ কথায় খেপেছেন মার্তিনেজও, ‘আমার মনে হয়, ফন গালের মুখটা বন্ধ রাখা উচিত।’