Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউরোজয়ী ইতালি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি

ইতালি বিশ্বকাপে নেই, অবিশ্বাস্য ঠেকছে মালদিনির

ফুটবল বিশ্বে একটা কথা প্রচলিত আছে—ইতালি ছাড়া বিশ্বকাপ হয় নাকি!
বিশ্বকাপ আসবে আর নীল জার্সির দলটি থাকবে না—এমন কিছু একটা সময় কল্পনাই করা যেত না। যেমন বিশ্বকাপ কল্পনা করা যায় না ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানিকে ছাড়া। কিন্তু ২০১৮ সালের পর এবারও ইতালিবিহীন বিশ্বকাপ দেখছে ফুটবল বিশ্ব।

এবারের বিশ্বকাপে ইতালির না থাকাটাকে কী বলা যায়—অঘটন? যে দলটি মাত্র এক বছর আগেই চরম দাপট দেখিয়ে ইউরোপ–সেরা হলো, তারাই কিনা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বই পেরোতে পারল না! খেলার মাঠে এমনটি হতেই পারে। কিন্তু উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপে না যেতে পারা, ইতালিয়ানদের জন্য মেনে নেওয়া কঠিনই বটে।

Also Read: বিশ্বকাপের সবচেয়ে দামি দল কোনটি

ইতালির সাবেক তারকা ও তাদের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলা পাওলো মালদিনি এবার বিশ্বকাপ দেখবেন বুকে পাথর বেঁধেই। সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের পক্ষেই যেখানে ইতালিবিহীন বিশ্বকাপ মেনে নেওয়া কঠিন, সেখানে মালদিনি তো ওই দেশটির হয়েই একসময় খেলেছেন। ব্যাপারটা তাঁর জন্য হৃদয়বিদারক তো বটেই। তিনি নাকি এটা হজমই করতে পারছেন না। তবে তিনি খুব করেই চেষ্টা করছেন বাস্তবতা মেনে নিতে।

প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের (পিএমজি) মাধ্যমে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মালদিনি বলেছেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে ইতালির না খেলতে পারাটা এক শোচনীয় ব্যর্থতা। চারবারের চ্যাম্পিয়ন হয়েও আমরা বিশ্বকাপে নেই। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। কী আর করা! এটিই বাস্তবতা।’

ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েও উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়াটাকে অবিশ্বাস্যই ঠেকেছে মালদিনির, ‘ইউরোপের সেরা দল হয়েও উত্তর মেসিডোনিয়ার মতো দলের কাছে হার যেকোনো ফুটবলপ্রেমীর কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হবে। প্লে–অফের ড্রয়ের পরই বুঝেছি, ফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে হারানো খুব কঠিন হতে চলেছে। কিন্তু আমরা তো প্রথমে মেসিডোনিয়াকেই হারাতে পারলাম না।’

পাওলো মালদিনি

তবে পরপর দুটি বিশ্বকাপে না থাকাটাকে মালদিনি কোনো ‘অশনিসংকেত’ মনে করেন না, ‘আমার মনে হয় না ইতালিয়ান ফুটবল গুরুতর কোনো সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় দলে প্রতিভার ছড়াছড়ি। রবার্তো মানচিনির মতো কোচ আছেন। তাঁর অধীনে ইতালি টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। ১৯৬৮ সালের পর আবার ইউরো জিতেছে। সত্যি বলতে কি, আমরা উত্তর মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে বাজে খেলেছি, তারই চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।’