বুয়েনস এইরেসে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটা নিয়ে মেসির, আর্জেন্টিনার এবং আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের আবেগের রংটা অনেক গাঢ়। কিন্তু এই আবেগের ঢেউয়ে আঘাত হানতে চাইছেন এমন একজন, যিনি নিজেও আর্জেন্টাইন।
দেশের মাটিতে এটিই হয়তো লিওনেল মেসির শেষ ম্যাচ। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটা ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ আর্জেন্টিনারও।
বুয়েনস এইরেসে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল (শুক্রবার) সকালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটা নিয়ে মেসির, আর্জেন্টিনার এবং আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের আবেগের রংটা অনেক গাঢ়।
কিন্তু এই আবেগের ঢেউয়ে আঘাত হানতে চাইছেন এমন একজন, যিনি নিজেও আর্জেন্টাইন। কে তিনি? ভেনেজুয়েলার কোচ ফার্নান্দো বাতিস্তা!
এই ম্যাচ নিয়ে মেসি নিজেই বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য খুব, খুব বিশেষ। কারণ, এটা বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ (আর্জেন্টিনায়)।’
বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ বাংলাদেশ সময় ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। তবে সেটা প্রতিপক্ষের মাঠে। দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচটা তাই মেসির কাছে খুবই আবেগের, ‘এরপর আর কোনো প্রীতি ম্যাচ বা অন্য কিছু হবে কি না, জানি না। তবে এই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোন—সবাই থাকবে আমার সঙ্গে। আমরা একসঙ্গে উপভোগ করব। এরপর কী হবে, জানি না।’
তবে এমন এক ম্যাচে ভেনেজুয়েলার কোচ ফার্নান্দো বাতিস্তা নামছেন অন্য এক মিশনে—বিদায় উৎসব পণ্ড করতে! তাঁর দল এখনো ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে আছে। পয়েন্ট তালিকায় সপ্তম স্থানে থাকা ভেনেজুয়েলার সংগ্রহ ১৮। ষষ্ঠ স্থানে থাকা কলম্বিয়ার চেয়ে পিছিয়ে ৪ পয়েন্টে।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ ছয়টি দল বিশ্বকাপে যাবে। সাত নম্বরে থাকা দলটি সুযোগ পাবে প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে যাওয়ার। ভেনেজুয়েলার হাতে আছে মাত্র দুটি ম্যাচ। তাই এই ম্যাচটা তাদের জন্য জীবন-মরণ ব্যাপার।
যে কারণে আর্জেন্টাইন হয়েও বাতিস্তা এখন মেসির বিদায় উৎসব নয়, ভাবছেন ভেনেজুয়েলাকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া নিয়ে। নিজে কখনো আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে খেলতে পারেননি, খেলেছেন ১৯৮৯ সালে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলে। তবে তাঁর ভাই সের্হিও বাতিস্তা ছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সঙ্গে তাই শুধু তাঁদের আবেগের নয়, পারিবারিক সম্পর্কও। তবে সেসব ভুলে গিয়ে এখন শুধু মেসিকে আটকানোর কথাই ভাবছেন ফার্নান্দো বাতিস্তা।
ম্যাচটা সামনে রেখে সংবাদমাধ্যমকে বাতিস্তা বলেছেন, ‘আমরা খেলব বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে। এটা হতে পারে আর্জেন্টিনায় লিওর শেষ অফিশিয়াল ম্যাচ। তবে শুধু মেসি নয়, স্কালোনির কোচিংয়ে দলটা এমনভাবে গড়া যে কেউ এলে বা গেলে কাঠামো ভাঙে না। কত কোচ যে মেসিকে ঠেকানোর পরিকল্পনা করেছে! আমরাও চেষ্টা করব। আমার চেষ্টা থাকবে এই মেসি-উৎসব ভন্ডুল করার। আমরা ওকে সম্মান করি, কিন্তু এই ম্যাচটা খেলব বিশ্বকাপে আমাদের জায়গা নিশ্চিত করার জন্য।’
আর্জেন্টিনা অবশ্য অনেক আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাই তাদের জন্য ম্যাচটা শুধু নিয়ম রক্ষার।
ভুল, দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচটা কি আর শুধু নিয়ম রক্ষার জন্য খেলবেন মেসি!