একই ম্যাচে যেভাবে লাল কার্ড দেখলেন স্বামী–স্ত্রী ও ‘নামে আসে যায়’

খেলার মাঠে খেলা তো হয়ই, এর বাইরে হয় বিচিত্র অনেক কিছুই। মাঠে ও মাঠের বাইরের বিচিত্র সব ঘটনা নিয়েই এ আয়োজন।

লাল কার্ড দম্পতি
খেলার দুনিয়ায় কত বিচিত্র ঘটনাই না ঘটে! ২৬ বছর আগের মেয়েদের এক ফুটবল ম্যাচকেও যেমন বিচিত্র এক ঘটনার জন্য এখনো মনে করা হয়। ১৯৯৯ সালে ঘটনা। ইংল্যান্ডের নারী ফুটবলে নিচের স্তরের এক লিগ সাউথ-ওয়েস্ট কম্বিনেশন চ্যাম্পিয়নশিপ সাক্ষী হয়েছিল সেই ঘটনার। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রিস্টল রোভার্স ও অক্সফোর্ড ইউনাইটেড। ম্যাচের মাঝপথে অক্সফোর্ডের এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলেও রেফারি হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজাননি। এতে খেপে গিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন ব্রিস্টলের ম্যান্ডি গরনিস্কি-বন্ড। একটু মাত্রাই ছাড়িয়েছিলেন ম্যান্ডি। ফল, রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে দেন তাঁকে। ম্যান্ডিকে লাল কার্ড দেখানোয় খেপে যান ব্রিস্টলের কোচও। মাঠে ঢুকে রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন তিনিও। ফল, আরেকটি লাল কার্ড। আর তাতেই ইতিহাস! ব্রিস্টল কোচ বিল বন্ড যে ম্যান্ডির স্বামী। এক ম্যাচে স্বামী-স্ত্রীর লাল কার্ড দেখার কথা আর শোনা যায়নি।
‘নামে আসে যায়’
এলেন, দেখলেন, জয় করলেন—আর্নে স্লটের জন্য কথাটা বলাই যায়। প্রথমবার কোনো ইংলিশ ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েই যে জিতে গেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। লিভারপুলকে রেকর্ড ছোঁয়া ২০তম শিরোপা এনে দেওয়া স্লটই প্রথম ডাচ কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল লিগে। স্লটের নেদারল্যান্ডসসহ মোট ১০টি দেশের কোচরা ইংলিশ লিগে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। তাঁদের মধ্যে ইংলিশরাই যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন, সেটিই স্বাভাবিক। মোট ৩৫ জন ইংলিশ কোচ এ পর্যন্ত ৬৫ বার চ্যাম্পিয়ন করেছেন দলকে। তবে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে রূপান্তরের পর কোনো ইংলিশ কোচ জিততে পারেননি ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ। ইংলিশ লিগ জয়ী সর্বশেষ ইংলিশ কোচের নাম হাওয়ার্ড উইলকিনসন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন লিডস ইউনাইটেডের কোচ ছিলেন তিনি। তাঁর আগে যে ইংলিশ কোচ চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ ছিলেন তাঁর নামও হাওয়ার্ড, হাওয়ার্ড কেন্ডল (১৯৮৬-৮৭, এভারটন)। ইংলিশ কোচরা নাম পাল্টে প্রথম অংশটা হাওয়ার্ড রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করবেন কি!