লিওনেল মেসির বিদায়ের পর তাঁর বিকল্পের সন্ধানে ছিল বার্সেলোনা। মেসির বিকল্প তো আর সম্ভব নয়, কাছাকাছি প্রভাব রাখার মতো সামর্থ্যবান কাউকে যদি পাওয়া যায়! এর মধ্যে আনসু ফাতি ছাড়াও বেশ কিছু নাম সামনেও এসেছিল, যদিও কেউই সেভাবে সফল হতে পারেননি। তরুণদের তুলে আনার সে ধারাতেই গত বছর অভিষেক হয় লামিনে ইয়ামালের। তাঁর মধ্যে এখন আক্ষরিক অর্থেই মেসির ছায়া দেখছেন অনেকে।
অভিষেকের পর থেকেই বার্সায় নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন ইয়ামাল।আলোঝলমলে পারফরম্যান্সের কারণে ধীরে ধীরে মেসির সঙ্গে তুলনাও শুরু হয় তাঁর। খেলার ধরন ও ম্যাচে প্রভাবের কারণেই মূলত এ তুলনা। উইং ধরে ইয়ামালের আক্রমণে যাওয়ার ভঙ্গিগুলোও যেন মনে করিয়ে দেয় মেসির কথা।
পরিসংখ্যানের দিক থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেসিকেও পেছনে ফেলেছেন ইয়ামাল। সব মিলিয়ে ১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে এত সব স্বীকৃতির সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ হচ্ছে ইয়ামালের ক্যারিয়ারে। মেসির প্রশংসায় সিক্ত হয়েছেন ইয়ামাল। এখনো কৈশোরের বৃত্তে থাকা ইয়ামালকে শুধু বার্সেলোনা নয়, ফুটবলেরই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বলে মন্তব্য করেছেন মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে অ্যাডিডাসের এক ইভেন্টে ইয়ামালকে নিয়ে কথা বলেছেন মেসি। গসপেল গিটারিস্ট গুকে ওয়েউ আর্জেন্টাইন মহাতারকার কাছে জানতে চান, কার মধ্যে তিনি নিজের ছায়া দেখেন?
মেসির জবাব, ‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যতের কারণে, আমি শুনেছি অনেকেই লামিনে ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, আমি একমত। তবে এটা তার ওপর এবং আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে–ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে।’
শুধু ইয়ামালই নয়, বার্সেলোনার প্রতিও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন মেসি, ‘আমি বার্সাকে লা লিগা, কোপা দেল রে, এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগও আবার জিততে দেখতে চাই। যে বছরগুলোতে সেটা করা সম্ভব হবে না, তখন তারা যেন অন্তত লড়াইটুকু করে।’