Thank you for trying Sticky AMP!!

ফুটবলে নীল কার্ড ব্যবহার নিয়ে ব্যপক আলোচনা হয়েছে

ফুটবলে নীল কার্ড এখনই চালু হচ্ছে না

ফুটবল অঙ্গনে হইচই ফেলে দেওয়া নীল কার্ড ব্যবস্থা এখনই চালু হচ্ছে না। আজ স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে হ্যান্ডবল, পেনাল্টি কিক ও গোলকিপার কর্তৃক বল ধরে রাখার বিষয়ে তিনটি নতুন আইন অনুমোদন করা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

পরীক্ষামূলকভাবে নীল কার্ড চালুর কথা এসেছে খেলায় শৃঙ্খলা বাড়ানোর ভাবনা থেকে। বর্তমানে রেফারিরা লঘু অপরাধের ক্ষেত্রে হলুদ কার্ড এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ও গুরু অপরাধের ক্ষেত্রে লাল কার্ড দেখিয়ে থাকেন। এর মাঝামাঝি শাস্তি হিসেবে দায়ী খেলোয়াড়কে ১০ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে শীর্ষস্তরে নীল কার্ড চালুর কথা ভেবেছিল আইএফএবি। তবে ফিফার আপত্তিতে সেটি এখন আটকে গেছে।

ফিফা বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও খেলাটির আইন ও বিধি প্রণয়ণের দায়িত্ব আইএফএবির। মাঠে রেফারিদের সুরক্ষা ও খেলোয়াড়দের মধ্যে শৃঙ্খলা বাড়াতে গত মাসেই শীর্ষস্তরের ফুটবলে ‘সিন বিন’ বা পরীক্ষামূলক নীল কার্ড চালুর ঘোষণা দিতে চেয়েছিল সংস্থাটি। ‘সিন বিন’ হচ্ছে এমন একটি জায়গা, যেখানে কাউকে অপরাধের শাস্তি হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইংলিশ ফুটবলের তৃণমূল স্তরে পাঁচ বছর ধরে নিয়মটি চালু আছে। সেখানে দায়ী খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘সিন বিনে’ পাঠানো হয়।

এ নিয়ম শীর্ষস্তরে চালু করার ক্ষেত্রে কার্ডের রং পাল্টে নীল করার পরিকল্পনা ছিল আইএফএবির। তবে খবরটি আগেভাগে সংবাদমাধ্যমে চলে এলে ‘নীল কার্ড পরিকল্পনা’ তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ও টটেনহাম কোচ অ্যাঞ্জ পোস্তেকোগলু সরাসরিই নতুন শাস্তি সংযোজনের বিপক্ষে অবস্থান নেন।

Also Read: লাল, হলুদের সঙ্গে নীল কার্ড—ফুটবলে নতুন রং নিয়ে নানা ভাবনা

ফুটবলে নতুন আইন সংযোজন করতে হলে আইএফএবি এজিএমে অনুমোদন পেতে হয়। আর অনুমোদনের জন্য দরকার হয় আট ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ছয়টি। চারটি ভোটের মালিক ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, বাকি চারটি ফিফার। স্কটল্যান্ডে এজিএম অনুষ্ঠানের আগের দিন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সরাসরিই বলে দেন, তাঁর সংস্থা শীর্ষস্তরে ‘সিন বিন’ বা ‘নীল কার্ড’ ব্যবহারের বিরোধী। মূলত তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়, এ দফায় নীল কার্ড ব্যবস্থা অনুমোদন পাচ্ছে না।

আইএফএবির এজিএমে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোসহ (সবার ডানে) অন্যান্যরা

আজ আইএফএবি এজিএমের পর দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও নীল কার্ড বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এজিএমে তিনটি পরিবর্তন অনুমোদন করা হয়েছে। একটি হচ্ছে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল। বর্তমানে যে হ্যান্ডবলের কারণে গোলের সম্ভাবনা আটকে যায়, শুধু সে ক্ষেত্রেই লাল কার্ড দেখানো হয়। নতুন আইনে গোল হতো কি না, বিবেচ্য হবে না। ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল হলেই লাল কার্ড দেখানো হবে।

দ্বিতীয় পরিবর্তনটি গোলকিপারের বল দখলে রাখার সময়ে। বর্তমানে একজন গোলকিপার ৬ সেকেন্ড পর্যন্ত বল দখলে রাখতে পারেন। এর বেশি সময় রাখলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের তা কেড়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। এখানে পরিবর্তন এনে সময় ৬ সেকেন্ড থেকে ৮ সেকেন্ডে উন্নীত করা হয়েছে। আর তৃতীয়টি মূলত স্পষ্টীকরণ। পেনাল্টি কিকের সময় বল নির্দিষ্ট স্পটের ঠিক মাঝখানেই রাখতে হবে, এত দিন যা আইনে স্পষ্ট ছিল না।

Also Read: সবচেয়ে পুরোনো মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট কোনটি ও আরও ৯ প্রশ্ন