ম্যাচের ৮০ মিনিটে পায়ে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়েন হামজা চৌধুরী। এর আগে চোটে আক্রান্ত হন জায়ান আহমেদও। নেপালের বিপক্ষে আজ ২–২ গোলের ড্রর পর তাই সমর্থকদের দুশ্চিন্তা এ দুই ফুটবলারকে নিয়ে।
যদিও ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছেন, দুজনের চোট গুরুতর নয়, ‘না, বড় কোনো সমস্যা নেই। মাংসপেশিতে কিছুটা চোট লেগেছে। এমন কিছু হয়নি, যাতে করে তারা ভারত ম্যাচের জন্য ঝুঁকিতে আছে।’
১৮ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নেপাল ম্যাচ সেই ম্যাচেরই একপ্রকার প্রস্তুতি। কিন্তু এমন ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পেরে হতাশ কাবরেরা, ‘আমাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আমরা ম্যাচে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করেছি; কিন্তু পরে সেটার ধারাবাহিকতা রাখতে পারিনি। ৯০ মিনিটের মধ্যে আমরা খুব বেশি সৃজনশীল বা আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা করতে পারিনি।’
তবে নেপাল ম্যাচের ভুল ভারত ম্যাচে চান না বাংলাদেশ কোচ। ভুলগুলো শোধরাতে কাজ করবেন আগামী কয়েক দিন, ‘আমরা এটি ভালোভাবেই জানি, এই উইন্ডোর মূল লক্ষ্য হলো ভারতের বিপক্ষে ৩টি পয়েন্ট অর্জন করা। আমরা ভিডিও দেখে ভুলগুলো ঠিক করার চেষ্টা করব। আমাদের কাছে এখন চার দিন সময় আছে, যাতে এগুলো মূল ম্যাচে (ভারত) না ঘটে।’
আজ বাংলাদেশকে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করায়। এর আগে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও শেষ দিকে গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়াকে বড় সমস্যা মনে করছেন না কাবরেরা। তিনি বলেন, জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, ‘আজ আমরা জয়ের জন্য খেলছিলাম। আমাদের উচিত ছিল তাদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করা এবং জেতা। বাস্তবতা হলো, আমরা হেরেছি। কিন্তু নেতিবাচক মনোভাব রাখার প্রয়োজন নেই। মূল ফোকাস ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে জেতা।’
নেপাল কোচ হরি খড়কা অবশ্য তাঁর দলের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও বাংলাদেশের পেনাল্টি গোল মানতে পারছেন না, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ১ পয়েন্ট পেলাম। এটাই আমাদের প্রাপ্তি। তাদের (বাংলাদেশের) প্রথম গোলটি দুর্দান্ত ছিল। দ্বিতীয়টি কীভাবে পেনাল্টি হলো, আমি জানি না। যাহোক রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’