ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রুবেন আমোরিমের দিন কি তবে শেষ হয়ে এল!
প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচেই জয়হীন দলটি এবার যে লিগ কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিল। সেটিও আবার চতুর্থ স্তরের দল গ্রিমসবির টাউনের কাছে হেরে! ব্লান্ডেল পার্কে ৯ হাজার দর্শকের সামনে রুবেন আমোরিমের দলকে ম্যারাথন এক টাইব্রেকারে ১২-১১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছে গ্রিমসবি।
মূল সময়ে ২-২ গোলে সমতা ছিল ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে গোল করে সমতা ফিরিয়ে ব্রায়ান এমবিউমো ও হ্যারি ম্যাগুয়ার লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন দলকে। তাঁদের দল প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়েছিল ২-০ গোলে।
টাইব্রেকারে প্রথমবার গোল করলেও ১৩ নম্বর শটে গোল করতে ব্যর্থ হন এমবিউমো। তাঁর শট ক্রসবারে প্রতিহত হলে মাঠে ঢুকে উৎসব শুরু করেন গ্রিমসবির সমর্থকেরা।
২২ মিনিটে গ্রিমসবিকে প্রথম গোল এনে দেওয়া চার্লস ভারনামের ম্যাচ শেষে বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি, সারা জীবন মনে থাকবে।’ সারা জীবন মনে রাখার মতো ঘটনাই তো এটি। লিগ টুর দলটির একাদশে ছিলেন কয়েকজন একাডেমি পাস করা খেলোয়াড় ও ফ্যারো আইল্যান্ড জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়।
অন্যদিকে ইউনাইটেডের আক্রমণভাগেই নতুন করে বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি পাউন্ড। এমবিউমো, কুনিয়া, বেঞ্জামিন সেসকো—তিনজনেই ছিলেন মাঠে। পেনাল্টি শুটআউটে সেসকো নিয়েছেন ইউনাইটেডের দশম শটটি। গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানাই মেরেছেন ১১ নম্বরটি। প্রথম পাঁচ শটে ৪-৪ সমতা থাকার পর সাডেন ডেথের ১১ নম্বর শটে দুই গোলরক্ষকই গোল করে ১০-১০ সমতা রাখেন।
আমি ইউনাইটেডের সমর্থক, তাই কিছুটা রাগও লাগছে।ক্রিস্টি পিম, গোলরক্ষক গ্রিমসবি
এমন এক অসাধারণ এক জয়ে পেয়েও পুরোপুরি খুশি নন গ্রিমসবির গোলরক্ষক ক্রিস্টি পিম। হবেনই–বা কীভাবে ইউনাইটেড যে তাঁর প্রিয় দল! ম্যাচ শেষে পিম বলেন, ‘আমি ইউনাইটেডের সমর্থক, তাই কিছুটা রাগও লাগছে।’
এ হারে আরও চাপে পড়লেন আমোরিম। গত নভেম্বর থেকে দায়িত্ব নিয়ে ৪৪ ম্যাচে জিতেছেন মাত্র ১৬টিতে। টাইব্রেকারে তিনি বেঞ্চে বসে ছিলেন, শটগুলো দেখতেও চাননি। ম্যাচ শেষে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সমর্থকদের কাছে, ‘আমরা একেবারেই ছন্নছাড়া ছিলাম।’
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ১৫তম হওয়া ইউনাইটেড এবার ইউরোপীয় কোনো টুর্নামেন্টেই সুযোগ পায়নি। লিগ কাপেও দলটি এত শুরুর দিতে মাঠে নামল ১১ বছর পর। ইউনাইটেড শেষবার লিগ কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড খেলেছিল ২০১৪ সালে। সেবারও দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল তৃতীয় স্তরের দল এমকে ডনসের কাছে ৪-০ গোলে হেরে। এবার তার চেয়েও বিব্রতকর ব্যর্থতা চতুর্থ স্তরের এক ক্লাবের বিপক্ষে।
একই দিনে ব্রাইটন দ্বিতীয় স্তরের অক্সফোর্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে ৬-০ গোলে। এভারটন ২-০ গোলে হারিয়েছে তৃতীয় স্তরের ম্যানসফিল্ডেকে, আর ফুলহাম ২-০ গোলে হারিয়েছে দ্বিতীয় স্তরের ব্রিস্টল সিটিকে।