পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা
পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা

গার্দিওলার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন তাঁর স্ত্রী

বিয়ের ১০ বছরের মাথায় স্ত্রী ক্রিস্টিনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, তাঁরা দুজন আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হলেও সম্পর্কটা ‘আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ রয়েছে। এ নিয়ে এত দিন ক্রিস্টিনার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এই লেখক ও সাংবাদিক।

বিবাহবিচ্ছেদের খবর চাউর হওয়ার এক সপ্তাহ পর বার্সেলোনায় একা একা শপিং করতে দেখা যায় ক্রিস্টিনাকে। মেইল অনলাইন জানিয়েছে, তখন তাঁকে দেখে হাসিখুশিই মনে হয়েছে। সিটি সেন্টারে স্প্যানিশ এক সংবাদকর্মী ক্রিস্টিনার সঙ্গে কথা বলেন। হাসিমুখেই তাঁকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রিম রঙের কোট, ধূসর ট্রাউজার ও সাদা জুতা পরা ক্রিস্টিনা। কেমন আছেন—প্রশ্নের উত্তরে তিন সন্তানের জননী বলেছেন, ‘খুব ভালো, ধন্যবাদ।’ মানসিক অবস্থা জানতে চাইলে ক্রিস্টিনা বলেছেন, ‘সবকিছু ঠিক আছে।’

তবে ক্রিস্টিনা একটি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিতে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করাই তাঁদের বিচ্ছেদের নেপথ্য কারণ—এ গুঞ্জন সত্যি কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিস্টিনার কাছে। এ বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি।
স্পেনের দুই সাংবাদিক লোরেনা ভাসকেস ও লরা ফা গার্দিওলার বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রথম প্রকাশ করেন। শোবিজ সাংবাদিকতায় একসঙ্গে তাঁদের ‘মামারাজ্জিস’ বলে ডাকা হয়। স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘এল পেরিওদিকো’য় প্রকাশিত তাঁদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত নভেম্বরে সিটির সঙ্গে গার্দিওলার চুক্তি নবায়ন করাই বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

ক্রিস্টিনার সঙ্গে ১৯৯৪ সাল থেকে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন গার্দিওলা। ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় ক্রিস্টিনাকে বিয়ে করে সেই সম্পর্কের পরিণতি দেন স্প্যানিশ এই কোচ। এক দশক পেরিয়ে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুজন।

বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ২০১৬ সালে সিটি কোচের দায়িত্ব নেন গার্দিওলা। তিন বছর পর ২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার শহর ছেড়ে বার্সেলোনায় ফেরেন ফ্যাশন উদ্যোক্তা ক্রিস্টিনা। তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ভ্যালেন্তিনাকে নিয়ে বার্সেলোনায় গিয়ে নিজের ব্যবসায়িক কাজকর্মে মনোযোগ দেন তিনি। গার্দিওলা সিটির সঙ্গে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি নবায়নের পর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন ক্রিস্টিনা। প্রতিবেদনে এটাও জানানো হয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের আইনগত কাগজপত্রে দুই পক্ষ সই করেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা সেরা

মামারাজ্জিদের সাপ্তাহিক পডকাস্টে লোরেনা বলেছিলেন, ‘পেপের বিরুদ্ধে ক্রিস্টিনার অনেক অভিযোগের একটি হলো তিনি নিজের পেশাদারি প্রজেক্টে অনেক বেশি মনোযোগী। সে (ক্রিস্টিনা) তাঁকে খুব বেশি জড়িয়ে পড়তে দেখেছে। সম্ভবত এ কারণেই সে নিজের জীবনকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার কথা ভেবেছে।’ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটি কে নিয়েছেন, সে বিষয়েও বলেছেন লোরেনা, ‘ডিসেম্বরে তারা বার্সেলোনায় গিয়ে সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে বড়দিন কাটানোর পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটি তখনই নেওয়া হয় এবং সিদ্ধান্তটি ক্রিস্টিনার।’