
ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস প্রথমার্ধে সমান তালে লড়াই করেছে। ৪৫ মিনিট শেষে স্কোরলাইনও সমান,১-১। কিন্তু বিরতির পর ঝড়-বৃষ্টির হানায় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে যায় ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের অস্থায়ী ডাগআউট। লন্ডভন্ড হয়ে যায় প্রেসবক্স।
এমনিতেই প্রেস বক্সের চারপাশে নেই কোনো দেয়াল। মাথার ওপর একটা টিনের চাল আর বসার মতো প্লাস্টিকের চেয়ার ছাড়া উল্লেখ করার মতো তেমন কিছু নেই। তারপরও প্রথমার্ধের লড়াইটা ছিল উপভোগ্য। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি সবকিছু এলোমেলো করে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে এক মিনিট ৫২ সেকেন্ডে মাঠে খেলা গড়ানোর পরই বৃষ্টির হানা, সঙ্গে বৈশাখী ঝড়ের দাপট। রেফারি সায়মন হাসান বাঁশি বাজিয়ে ম্যাচ বন্ধের নির্দেশনা দিতেই দুই দলের খেলোয়াড়রা দৌড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান ৷ এরপরই মাঠে অন্য রকম এক দৃশ্য। তুমুল বৃষ্টির মধ্যে শত শত দর্শক ঢুকে পড়েন মাঠে। বলে কয়েকটা শট দিয়ে একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে মাঠ ছাড়েন তাঁরা ৷
বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ বন্ধের সময় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে দেখা যায় ভিআইপি গ্যালারি ছেড়ে চলে যেতে। তাঁর পিছু নিয়ে রেফারির এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কাবরেরার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস। তাতে অবশ্য কোনো লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না। কাবরেরা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে যান, আর সত্যজিৎ চোখেমুখে হতাশা নিয়ে ভিআইপি গ্যালারিতে ফেরেন।
প্রায় ২০ মিনিট পর বৃষ্টি থামলে মাঠ পরিচর্যার কাজ শুরু হয়। এর ঠিক ১০ মিনিট পর মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন রেফারি সায়মন ও ম্যাচ কমিশনার তায়েব হাসান। মাঠ খেলার উপযোগী হওয়ার কথা দুই দলের কোচ ও স্টাফদের ডেকে জানিয়ে দেন তাঁরা।
আউটফিল্ড থেকে পানি সরানোর জন্য আরও ২৫ মিনিট সময় দেন ম্যাচ কমিশনার। মাঠের আউটফিল্ড থেকে পানি সরানোর জন্য আরও ২৫ মিনিট সময় দেন ম্যাচ কমিশনার। এই সুযোগে দুই দলের খেলোয়াড়রাও ওয়ার্মআপ সেরে নেওয়ার সময় পায়।