Thank you for trying Sticky AMP!!

লং মা

অনন্য কীর্তি গড়ার পর বললেন, ‘মনে হচ্ছে যেন স্বপ্ন দেখছি’

কীর্তিটা গড়ার পর লং মা বলছিলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন স্বপ্ন দেখছি।’

ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও যেন ঘোরের মধ্যে ছিলেন চীনের তারকা টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথম টিটি খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের এককে দ্বিতীয়বার সোনা জিতলেন লং মা। টোকিওতে আজ ফাইনালে লং মা ৪-২ সেটে হারিয়েছেন সতীর্থ ফ্যান জেনডংকে।

এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক এবং ২০১৬ রিও অলিম্পিকে দলগত সোনা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল লং মার। সব মিলিয়ে এখন লং মার শোকেসে চারটি অলিম্পিক সোনা, টেবিল টেনিসের ইতিহাসে এই কীর্তিও এর আগে কারও ছিল না। সর্বশেষ রিও অলিম্পিকেও ছেলেদের এককে সোনার পদকটা লং মা গলায় তুলেছিলেন।

ফ্যানের সঙ্গে লড়াইটা জমে ওঠে মা-র

এমনিতেই টিটিতে চীনের জয়জয়কার। ছেলেদের ইভেন্টের আগে তাই তো আরেকটি চীনা ফাইনাল দেখেছে মেয়েদের এককে। মেয়েদের খেলার পর ছেলেদের টিটির শীর্ষ বাছাই দুই তারকা লং মা ও ফ্যান জেনডং আরেকবার চীনের পতাকা তুলে ধরলেন জাপানের মাটিতে।

ফাইনালের লড়াইটা বেশ জমে ওঠে। অভিজ্ঞ লং মার প্রতিটি ফোরহ্যান্ড শট ছিল দুর্দান্ত। চাপের মধ্যেও কীভাবে ম্যাচ জিতে বেরিয়ে আসতে হয়, তা আজ ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন লং মা।

সোনার পদক হাতে মা

প্রথম সেটটি অনায়াসেই লং মা জিতে নেন ১১-৪ পয়েন্টে। এরপর দ্বিতীয় সেট ফ্যান জেতেন ১২-১০ পয়েন্টে। ম্যাচে সমতা ফেরে। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ সেট আবারও জেতেন লং মা, পয়েন্টের ব্যবধান যথাক্রমে ১১-৮ ও ১১-৯। ২০১৪ যুব অলিম্পিকের চ্যাম্পিয়ন ফ্যান এরপর পঞ্চম সেটটি জেতেন ১১-৩ ব্যবধানে। এরপর শেষ সেটে ১১-৭ পয়েন্টে জিতে সোনালি হাসি হেসেছেন লং মা।

এমন একটা কীর্তি গড়ার পেছনে কতটা কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে, তা ম্যাচ শেষের সাক্ষাৎকারে বলেছেন লং মা, ‘এখানে আসার পথটা এত সহজ ছিল না। বিশেষ করে গত কয়েক বছর অনেক পরিশ্রম করেছি।’

টেবিল টেনিসে তিন পদকজয়ী

ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে যখনই নিজের দেশের খেলোয়াড় ফ্যানকে পেয়েছিলেন, তখনই লং মা বুঝেছিলেন ম্যাচটা সহজ হবে না, ‘ফ্যানের বিপক্ষে খেলা অনেক চাপের। আমাকে যথেষ্ট লড়াই করতে হবে। আমি যখন নিজের সেরাটা খেলি, তখনই শুধু ওকে হারাতে পারি।’

এবারের অলিম্পিক গেমসটা পুরোটাই রোমাঞ্চে ভরা ছিল, অন্তত লং মার তেমনই মনে হয়েছে, ‘এই প্রতিযোগিতা ছিল রোমাঞ্চকর। দুটি সেমিফাইনাল, ব্রোঞ্জপদকের ম্যাচ এবং ফাইনাল...। আমার মনে হয়, এবারের অলিম্পিকে এই খেলাটা ছিল অন্যতম রোমাঞ্চকর টুর্নামেন্টের একটি।’