আইওসির নতুন সভাপতি ক্রিস্টি কভেন্ট্রি।
আইওসির নতুন সভাপতি ক্রিস্টি কভেন্ট্রি।

আইওসিতে নতুন সভাপতি, অলিম্পিকজয়ী কভেন্ট্রির ইতিহাস

আগামী আট বছরের জন্য ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিস্টি কভেন্ট্রি। ৪১ বছর বয়সী এই জিম্বাবুইয়ান সাঁতারু আইওসির ১৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী সভাপতি, প্রথম আফ্রিকানও।

আজ গ্রিসের কস্তা নাভারিনোয় আইওসির ১৪৪তম সভায় নতুন সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। যাঁদের মধ্যে কভেন্ট্রি ও সেবাস্টিয়ান কোর মতো সাবেক ক্রীড়াবিদ যেমন ছিলেন, তেমনি রাজপরিবারের সদস্য, ব্যবসা, আইন ও রাজনীতি অঙ্গনের মানুষও ছিলেন।

আইওসি নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের পঞ্চাশ শতাংশের বেশি কেউ না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট হয়। সে ক্ষেত্রে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়েন। এভাবে কেউ অর্ধেকের বেশি সমর্থন না পাওয়া পর্যন্ত ভোটাভুটি চলতে থাকে।

তবে আজকের নির্বাচনে কভেন্ট্রি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেয়ে যান প্রথম রাউন্ডেই। ৯৭ ভোটের মধ্যে ৪৯টিই পড়ে কভেন্ট্রির পক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ ভোট পান স্পেনের ক্রীড়া সংগঠক হুয়ান আন্তোনিও সামারা।

ভোটাভুটি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন আইওসি সভাপতি টমাস বাখ।

অন্যদের প্রাপ্ত ভোট ছিল যথাক্রমে সাবেক ক্রীড়াবিদ ও ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের সভাপতি সেবাস্তিয়ান কো ৮টি, ইন্টারন্যাশনাল সাইক্লিং ইউনিয়নের সভাপতি ও ফরাসি রাজনীতিবিদ ডেভিড লেপারটিয়েন্ট ৪টি, ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সভাপতি ও জাপানি ব্যবসায়ী মোরিনারি ওয়াতানাবে ৪টি, ইন্টারন্যাশনাল স্কি ফেডারেশনের সভাপতি ও ব্রিটিশ–সুইডিশ পরিবেশবিদ জোহান ইলিয়াশ ২টি এবং জর্ডান রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স ফয়সাল আর হুসেইন ২টি।

প্রথম রাউন্ডেই মোট প্রদত্ত ভোটের বেশির ভাগ পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া কভেন্ট্রি একজন সাবেক অলিম্পিয়ান। অংশ নিয়েছেন সিডনি ২০০০ থেকে টানা পাঁচ আসরে। এর মধ্যে ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে একটি সোনাসহ জেতেন ৩টি পদক, ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে একটি সোনাসহ চারটি। দুটি সোনাই ছিল ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে।

২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ব্যাকস্ট্রোকে সোনা জেতেন ক্রিস্টি কভেন্ট্রি।

২০১৬ রিও অলিম্পিক খেলে যখন অবসর নেন, তখনো যৌথভাবে অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি পদকজয়ী নারী সাঁতারু তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অবার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্টে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেওয়া কভেন্ট্রি খেলার ছাড়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেন।

২০১৮ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

কভেন্ট্রি আগামী ২৩ জুন অলিম্পিক দিবসে বর্তমান প্রধান টমাস বাখের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন।