Thank you for trying Sticky AMP!!

পরীমনি ও শরীফুল রাজ মাতিয়ে দিলেন হকি স্টেডিয়াম

হকি স্টেডিয়াম মাতিয়ে পরীমনি–শরীফুল রাজের অন্য রকম রাত

পরীমনি ও তাঁর স্বামী শরীফুল রাজ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আসবেন, আগের দিনই খবরটা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল হকি স্টেডিয়াম পাড়ায়। উদ্দেশ্য চলমান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের গায়ে তারকা হাওয়া লাগানো। সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে বলা যায়। দুই তারকা এসে মাতিয়ে দিলেন হকি স্টেডিয়াম।

আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে এ চলচ্চিত্র তারকা জুটি স্টেডিয়ামে আসতেই সাড়া পড়ে গেল। আসলে সাড়া পড়েছিল আগেই। গুলিস্তানে হকি স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে অপেক্ষা করছিলেন অনেক মানুষ। ভিড়টা আস্তে আস্তে বেড়ে একপর্যায়ে ফটক ভেঙে যায় যায় অবস্থা। ফটোসাংবাদিকেরা প্রস্তুত ছিলেন আগে থেকেই। স্টেডিয়ামের ভেতরে পরীমনি আর শরীফুল ঢুকতেই সবাই তাঁদের ঘিরে ধরেন। ভিড়ের চাপে তাঁরা যে ঠিকমতো কথা বলবেন, সেই অবস্থাও থাকল না। দুই তারকা পড়েন সেলফিশিকারিদের কবলেও।

রাত সাড়ে আটটায় তারকা দম্পতি যখন মাঠের একপাশে, ততক্ষণে রাতে ম্যাচের মুখোমুখি হওয়ার আগে সাইফ স্পোর্টিং খুলনা ও ওয়ালটন ঢাকার খেলোয়াড়েরা মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়েছেন জাতীয় সংগীতের জন্য।  

পরীমনি ও তাঁর স্বামী শরীফুল রাজ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আসবেন, আগের দিনই খবরটা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল হকি স্টেডিয়াম পাড়ায়

পরীমনি আর রাজকে আনা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে প্রচারণার অংশ হিসেবে। তাঁরা এই টুর্নামেন্টের শুভেচ্ছাদূত। এর আগে গত সোমবার হকি স্টেডিয়ামে এসেছিলেন হাওয়া সিনেমার নায়িকা নাজিফা তুষি। আয়োজকেরা চাইছেন দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ছয় দলের হকি লিগটিকে আকর্ষণীয় করতে। কিন্তু গ্যালারিতে দর্শক থাকছেন হাতে গোনাই। ২৮ অক্টোবর প্রথম দিনে তবু ভিআইপি বক্স মিলিয়ে ৩–৪ হাজার দর্শক হয়েছিল, এর পর থেকে উপস্থিতি কমে গেছে অনেক। তবে গ্যালারিতে থাকা দর্শকেরা অবশ্য সময়টা উপভোগ করছেন ভালোই।

আজ ম্যাচের বিরতির সময় পরীমনি আর রাজ হকিস্টিক হাতে মাঠে নামেন। সে সময় হঠাৎ স্টেডিয়ামের সব ফ্লাডলাইট নিভে যায়। মিনিট দশেক দেরিতে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। সে সময় বাংলা চলচ্চিত্রের দুই অভিনয়শিল্পী উপহার হিসেবে কিছু টি–শার্ট ছুড়ে মারেন দর্শকদের।

শেষে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে আসেন স্টেডিয়ামের তৃতীয় তলার ভিআইপি বক্সে। কিন্তু কথা বলবেন যখন, তখনই কেঁদে ওঠেন তাঁদের শিশুসন্তান। পরীমনি ছেলেকে সময় দিয়ে তারপর কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। হকি স্টেডিয়ামে এসে দারুণ লাগছে জানিয়ে বলেন, ‘যখন থেকে ঠিক হলো হকি মাঠে যাব, তখন থেকেই একট রোমাঞ্চ কাজ করছিল মনে। মাঠে আসার পর এত মানুষের সাড়া দেখে অভিভূত হয়েছি। খুবই ভালো লাগছে আমার।’

শরীফুলের অনুভূতিও ছিল একই। সঙ্গে হকি নিয়েও কথা বলেন বাংলা সিনেমার সময়ের আলোচিত এই নায়ক। জানান, বাংলাদেশের হকি নিয়ে নিজের প্রত্যাশাও, ‌‘আশি-নব্বই দশকের বাংলাদেশের হকি যে জায়গায় ছিল, আশা করি এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মাধ্যমে বাংলাদেশের হকি আরও এগোবে। বাংলাদেশের হকিকে আমি আরও বড় জায়গায়, বিশ্ব মঞ্চে দেখতে চাই।’