নীরবেই শুটিংকে বিদায় বলে দিয়েছেন রত্না
নীরবেই শুটিংকে বিদায় বলে দিয়েছেন রত্না

শুটিংয়ের কমিটি ঘোষণার পর কোচ শারমিনের পদত্যাগ

বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের নতুন কমিটি ঘোষণার দিনই পদত্যাগ করেছেন জাতীয় শুটিং দলের সহকারী কোচ শারমিন আক্তার (রত্না)।

প্রথম দফায় ২০২২–২৩ সাল পর্যন্ত সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শারমিন। এক বছর বিরতির পর ২০২৪ সালের আগস্টে সরকার বদলের পর ফেরেন সহকারী কোচ ও ক্যাম্প কমান্ডার হিসেবে। কিন্তু ১৬ জুলাই ফেডারেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরপরই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। যা সামনে এসেছে শুক্রবার।

পদত্যাগের চিঠিতে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখানো হলেও শারমিনের সরে দাঁড়ানোর পেছনে মূল কারণ ফেডারেশনের নতুন কমিটির গঠনে থাকা একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা, এমনটাই মনে করছেন শুটিং–সংশ্লিষ্ট অনেকে।

প্রথম আলোকে শারমিন বলেন, ‘যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা আমার পছন্দ হয়নি। এখানে বিতর্কিত লোক আছে। সভাপতি মনোনয়নও আমার ভালো লাগেনি। এত দিন বলা হচ্ছিল শুটিং একটি স্পর্শকাতর ফেডারেশন। এখানে অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিষয় আছে। কিন্তু যেভাবে কমিটি গঠিত হয়েছে, তা দুর্বল ও বিতর্কিত। আমি এই কমিটির অধীন কাজ করতে আগ্রহী নই।’

১৬ জুলাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ১৯ সদস্যের যে অ্যাডহক কমিটি করে, সেটির সভাপতি সাবেক ক্রীড়াসচিব ও বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এ ছাড়া কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে রেমো রউফ চৌধুরী ও আবদুস সালাম খানকে। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শুটিং সংগঠক ও অভিনেত্রী আলেয়া ফেরদৌস। যুগ্ম সম্পাদক সাবেক শুটার জি এম হায়দার এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন আহমেদ কবির।

কমিটি ঘোষণার পরপরই ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির আহ্বায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘এটা আমাদের দেওয়া কমিটি নয়। অন্য ফেডারেশনগুলোর কমিটি যেমন সার্চ কমিটির দেওয়া ছিল, শুটিংয়ের কমিটি তেমন নয়।’

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে শারমিন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। এক যুগের বেশি সময় ধরে শুটার হিসেবেও আলোচিত ছিলেন। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ও এসএ গেমসে ব্যক্তিগত ও দলীয় সোনা জেতেন শারমিন।