সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার

এই পুরস্কার আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়

আগামী ৯ আগস্ট সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষ্যে লিখেছেন ২০০৫ ও ২০১২ সালে সেরা নারী খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাওয়া মোল্লা সাবিরা সুলতানা।

২০০৫ সালে প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়াটা আমার জীবনের অবিশ্বাস্য এক মুহূর্ত ছিল। এত এত ভালো খেলোয়াড়ের মধ্যে আমার নামটা যখন ডাকা হয়, আমি যেন স্বপ্নের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।

২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো প্রথম আলো বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মোল্লা সাবিরা সুলতানা

মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলি আনন্দে। হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও জাহিদ হোসেন এমিলির মতো তারকার পাশে দাঁড়াতে পারাটা ছিল আমার জীবনের স্মরণীয় একটা অভিজ্ঞতা।

তারপর ২০১২ সালে আবারও প্রথম আলোর বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাই। দুটি পুরস্কারই আমার খেলোয়াড়ি জীবনের অন্যতম বড় স্বীকৃতি। আমার মনে হয়, এই পুরস্কার শুধু একটা ট্রফি নয়। ভবিষ্যতের জন্য বড় অনুপ্রেরণাও।

২০১২ সালে আবারও প্রথম আলো বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মোল্লা সাবিরা সুলতানা

আমি কৃতজ্ঞ প্রথম আলোর কাছে, যারা টানা ২০ বছর ধরে দেশের খেলোয়াড়দের এই সম্মান দিয়ে আসছে। কৃতজ্ঞতা স্পনসর প্রতিষ্ঠানকেও। খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক পুরস্কার পেলেও প্রথম আলোর পুরস্কার আমার কাছে ছিল বিশেষ কিছু এবং অন্য উচ্চতার, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

এই পুরস্কার আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রথমবার পুরস্কার পাওয়ার পরের বছরই ২০০৬ সালে আমি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগে ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে যোগ দিই। মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে প্রথম আলোর পুরস্কারের পেপার কাটিং দেখানোর পরই আমি চাকরিটা পাই।

এখন আমি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক। আমার মনে হয়, পুরস্কারের সংখ্যা আরও বাড়ালে আরও বেশি খেলোয়াড় আমার মতো এমন উৎসাহিত হবে।

লেখক: সাবেক ভারোত্তোলক