গান শুনতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ পাওয়া বেশ কঠিন। অবসর সময়ে বা যানজটে আটকে থাকার সময়ে মুঠোফোনে গান শোনেন অনেকেই। তবে ইচ্ছা থাকলেও সবার পক্ষে দামি হেডফোন কেনা আর হয়ে ওঠে না। বাংলাদেশে কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে তারযুক্ত বা তারহীন হেডফোন। আজ দেখে নেওয়া যাক ১ হাজার টাকার নিচে ১০ হেডফোনের খোঁজ।
কম দামের মধ্যে যাঁরা হেডফোন কিনতে চান, তাঁদের জন্য মাইক্রোপ্যাকের এমএইচপি ০১ মডেলের হেডফোনটি বেশ ভালো মানের। তারযুক্ত হেডফোনটি মুঠোফোনের পাশাপাশি ডেস্কটপ কম্পিউটার ও ল্যাপটপেও ব্যবহার করা যায়। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটির দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
তারযুক্ত হ্যাভিট এইচ ১১৬ডি মডেলের হেডফোনটির ফ্রিকোয়েন্সি ২০ মেগাহার্জ থেকে ২০ কিলোহার্টজ। শব্দের তীব্রতা স্পিকারে ১১০ ডেসিবেল। ৬.৫৬ ফুট তারযুক্ত হেডফোনটির ওজন ৪১২.৫০ গ্রাম। দুটি রঙে বাজারে আসা হেডফোনটিতে রয়েছে এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা। কিনতে গুনতে হবে ৬৫০ থেকে ৭২০ টাকা।
৩.৫ মিলিমিটার সিঙ্গেল পোর্টের লজিটেকের এইচ ১১১ হেডফোনটিতে ৫.৯০ ফুট তার থাকায় স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যায়। দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটির দাম ৭৫০ থেকে ৮৬০ টাকা।
কম দামের মধ্যে রাপো এইচ ১০০ মডেলের হেডফোনটি বেশ উন্নত মানের। ৪.৯২ ফুট তারযুক্ত এ হেডফোনে অডিও আউটপুট সুবিধা থাকায় স্বচ্ছন্দে কথা বলা যায়। ৩.৫ মিলিমিটার ডুয়েল পোর্ট সুবিধার হেডফোনটিতে শব্দ কমবেশি করার পাশাপাশি মাইক্রোফোনও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটির দাম ৮০০ থেকে ৮৮০ টাকা।
ব্লুটুথ সুবিধার হ্যাভিট এইচ ২৫৯০ বিটি হেডফোনটি মুঠোফোন বা কম্পিউটার থেকে ১০ মিটার দূর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। হেডফোনটির স্পিকার ফ্রিকোয়েন্সি ২০ মেগাহার্জ থেকে ২০ কিলোহার্টজ। হেডফোনটিতে ১০০ এমএএইচ ব্যাটারি থাকায় এক চার্জে টানা চার ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। হেডফোনটির ওজন বেশ কম, মাত্র ১৭.৮ গ্রাম। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটি কিনতে গুনতে হবে ৮৪০ থেকে ৮৭০ টাকা।
এফোরটেকের এইচএস-১৯ মডেলের ডাবল প্লাগ পোর্ট সুবিধার হেডফোনটির ফ্রিকোয়েন্সি ২০ মেগাহার্জ থেকে ২০ কিলোহার্টজ। শব্দের তীব্রতাও বেশ ভালো—স্পিকারে ১০২ এবং মাইক্রোফোনে ৫০ ডেসিবেল। ৫.৫৬ ফুট তার সুবিধার হেডফোনটির ওজন ৪১২.৫০ গ্রাম। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটির দাম ৮৮০ থেকে ৯৭০ টাকা।
৬.৫৬ ফুট তারযুক্ত এডিফায়ার কে৫৫০ মডেলের হেডফোনটির ফ্রিকোয়েন্সি ২০ মেগাহার্জ থেকে ২০ কিলোহার্টজ। শব্দের তীব্রতা ৯১ ডেসিবেল। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ৩.৫ মিলিমিটার পোর্টের হেডফোনটির দাম ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা।
মিশন এমটি-এইচপি ০১০ মডেলের ডুয়েল পোর্ট সুবিধার হেডফোনটিতে ৫.৯০ ফুট তার রয়েছে। হেডফোনটির ফ্রিকোয়েন্সি ১০ মেগাহার্জ থেকে ২০ কিলোহার্টজ। শব্দের তীব্রতা মাইক্রোফোনে ৫৮ ডেসিবেল। নয়েজ রিডাকশন ভাইব্রেশন সুবিধা থাকায় গেমারদের কাজে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে হেডফোনটি। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটির দাম ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা।
ব্লুটুথ সুবিধার হ্যাভিড এইচভি-এইচ ৬১০ বিটি মডেলের হেডফোনটি মুঠোফোন বা কম্পিউটার থেকে ১০ মিটার দূর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। হেডফোনটির ফ্রিকোয়েন্সি ২০ মেগাহার্জ থেকে ২০ কিলোহার্টজ। শব্দের তীব্রতা স্পিকারে ১১০ + ৩ ডেসিবেল। ১৪২ গ্রাম ওজনের হেডফোনটিতে ২০০ এমএএইচ ব্যাটারি থাকায় এক চার্জে টানা চার ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটির দাম ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকা।
এডিফায়ার এইচ ৬৫০ মডেলের ৩.৪ ফুট তারযুক্ত হেডফোনটি সিঙ্গেল পোর্টের। ২০ মেগাহার্জ থেকে ২০ কিলোহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি সুবিধার হেডফোনটির শব্দের তীব্রতা ৩২ ডেসিবেল। মাইক্রোফোন নয়েজ রিডাকশন সুবিধার হেডফোনটি কাজে লাগিয়ে কথাও বলা যায়। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ হেডফোনটির দাম ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকা।