বল লাগলেই জ্বলে উঠছে স্টাম্প!

বল লাগলেই জ্বলে উঠছে স্টাম্প
বল লাগলেই জ্বলে উঠছে স্টাম্প

বাংলাদেশ মেতে আছে ‘চার ছক্কা হই হই’ ক্রিকেট নিয়ে। আর আপনিও নিশ্চয়ই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা দেখছেন? আর খেয়াল করেছেন এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে আলো জ্বলা নতুন স্টাম্পের কারসাজি!

স্টাম্পগুলো আর আগের মতো নেই। বল লাগলেই আলো জ্বলে উঠছে স্টাম্পে । এবারের বিশ্বকাপে নতুন প্রযুক্তি এই ‘এলইডি স্টাম্প’। একে বলা হয় ‘জিংস’ স্টাম্প।

বেলে সামান্যতম ছোঁয়া লাগলেও বেলের মধ্যে থাকা বিশেষ সেন্সর বেতার তরঙ্গ দ্রুতগতিতে সংকেত পাঠাতে পারে এবং আলো জ্বলে ওঠে। এতে এক সেকেন্ডের এক হাজার ভাগের কম সময় লাগে। এই স্টাম্প তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কম্পোজিট প্লাস্টিক এবং এতে যুক্ত হয়েছে বিশেষ সেন্সর যা মাইক্রোপ্রসেসরের সঙ্গে যুক্ত।

এর আগে খেলা শেষে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়রা স্যুভেনির বা স্মারক হিসেবে উইকেট নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে জিংস সিস্টেমের স্টাম্প ও বেল তারা নিতে পারছেন না। স্টাম্পগুলো যথেষ্ট দামি। প্রতিটি ম্যাচে ব্যবহূত ছয়টি স্টাম্পের মোট দাম ৪০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩১ লাখ ১২ হাজার টাকা। এই স্টাম্প তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান।

জিংসের উদ্ভাবক ব্রন্টি ইকারম্যান জানিয়েছেন, প্রতিটি ম্যাচের জন্য ৪০ হাজার ডলার মূল্যের পেটেন্টেড প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি। এখানে প্রতিটি বেলের দামই আইফোনের দামের সমান। খেলার শেষে তাই এখন আর এই উইকেট ও বেল তাদের একেবারেই দিতে পারছি না।

জিংস প্রযুক্তিতে তৈরি এলইডি বাতির মতো জ্বলে ওঠা স্টাম্প বা বেল ভুল করে যাতে কেউ নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য মাঠের বাইরে অপেক্ষায় থাকেন ব্রন্টি ইকারম্যান। খেলোয়াড়েরা  ভুল করে নিয়ে ফেললেও খেলা শেষে তা সংগ্রহ করে রাখেন তিনি।

অবশ্য জিংস সিস্টেমের এই স্টাম্প ব্যবহারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যবহূত হয়েছে। তবে আইসিসির কোনো আয়োজনে জিংস বেল ব্যবহারের ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম ঘটল।

জিংস স্টাম্প এখন পর্যন্ত কখনও ভাঙেনি বলেই এর নির্মাতার দাবি। তবে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সময় লাসিথ মালিঙ্গার বলে এটি ভেঙে যেতে পারে বলে ভয় পেয়েছিলেন তিনি।

ইকারম্যান মনে করেন, এ ধরনের স্টাম্প জনপ্রিয়তা পেলে এর দাম কমে আসবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এর দাম হাতের নাগালে চলে এলে খেলা শেষে স্মারক হিসেবে এই স্টাম্প ও বেল খেলোয়াড়দের নিতেও আর বাধা থাকবে না।