
বহিরাগত ডিটেক্টর
কিছু কিছু বিয়ের অনুষ্ঠানে বিনা দাওয়াতের কিছু অতিথি ঢুকে পড়ে। ভাইরাসের মতোই অযাচিত বহিরাগতদের ধরার জন্য ‘বহিরাগত ডিটেক্টর’ যন্ত্র, যা চোখের পলকেই ভিড়ের ভেতর থেকে বহিরাগত ধরে এনে সম্মানের সঙ্গে বিতাড়িত করবে!
কী ব্যাপার, বিয়েবাড়ির বাইরে কেন?
আর বলবেন না! বহিরাগত ডিটেক্টরে যে ছবি আছে, সেটার সঙ্গে আমার চেহারার নাকি মিল নেই। বর হওয়ার পরও আমাকে বের করে দিল!
রুমাল হোল্ডার
রুমাল দিয়ে বরের মুখ ঢাকার পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু প্রায় সারাটা সময় মুখের সামনে হাত উঠিয়ে রাখা বরের জন্য যথেষ্ট কষ্টের। সেই কষ্ট লাঘব করতেই ‘রুমাল হোল্ডার’, যার মাধ্যমে কোনো রকম হাতের ব্যবহার ছাড়াই বর সারাক্ষণ মুখে রুমাল ধরে রাখতে পারবে।
এত খরচা করে ছেলের জন্য রুমাল হোল্ডারের ব্যবস্থা করলাম, আর সেটা দেখি এভাবে পড়ে আছে, ব্যাপারটা কী?
তোমার ছেলে তো সারা দিন মুখের সামনে স্মার্টফোন ধরে রাখে! রুমাল হোল্ডার দিয়ে করবেটা কী সে?
জুতা ডিফেন্ডার
সম্ভবত মানুষ যে আমলে ঠিকমতো জুতা পরতেও শেখেনি, সেই আমল থেকেই বরের জুতা লুকিয়ে রাখার ঐতিহ্য চালু হয়ে গেছে! তাই জুতা অপহরণ ঠেকাতে এই ‘জুতা ডিফেন্ডার’, যা খুব সহজেই অন্য পক্ষের হাত থেকে বরের জুতাকে নিরাপত্তা দেবে!
কিরে, কিছুক্ষণ আগেই দেখলাম ঠিকঠাক, বিয়েবাড়িতে কী এমন হলো যে সোজা হাসপাতালে?
আর বলিস না, বরের জুতা কেউ যাতে লুকিয়ে না রাখতে পারে সে জন্য একটু আড়ালে রাখতে গেছিলাম! জুতা ডিফেন্ডার যে আমাকেই চোর ভাববে, কে জানত!
দুর্নাম সেন্সরিং
কিছু লোক থাকে যারা সবকিছুরই দুর্নাম করতে ভালোবাসে, দুর্নাম না করতে পারলে এদের বিয়েবাড়ির ভাতও গলা দিয়ে নামে না! তাই এসব বন্ধ করতেই ‘দুর্নাম সেন্সরিং’, যা খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে সব ধরনের বাজে মন্তব্য প্রশংসায় রূপান্তর করে দেবে!
খাবারে যখন অতিরিক্ত ঝালই ছিল তখন এতটা খেতে গেলেন কেন?
ইচ্ছে করে কী আর খেয়েছি! কী এক যন্ত্র লাগিয়েছে, যাতে দুর্নাম করলেও সেটা অটোমেটিক প্রশংসা হয়ে যায়! তাই যতই তাদের বলি, তরকারিতে ঝাল হয়েছে, সেটা প্রশংসায় বদলে গেছে! শেষমেশ গলা পর্যন্ত গিলতে হলো!