বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফেসবুক ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘বৈশাখী ফটো কনটেস্ট’। দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে ফটো কনটেস্ট, অ্যাপস কনটেস্ট ও ভিডিও কনটেস্টের ধারাবাহিক আয়োজনের অংশ হিসেবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল দেশের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেভারি ল্যাব মিমোসা। এর মধ্যে সবচেয়ে সাড়া জাগানো অ্যাপসটি ছিল কীভাবে শাড়ি পরতে হয় তা নিয়ে। আর শাড়ি পরা ছবির প্রতিযোগিতায় জিতে ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানার বৈশাখী শাড়ি উপহার পেয়েছেন বিজয়ীরা।
আজ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাকক্ষে বিজয়ীদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় ফেসবুক লাইকের ভিত্তিতে বিজয়ী হয়েছেন কিম পসিবল (ফেসবুক নাম) ও বিচারকদের বিচারে সুহা আহমেদ ফারহানা। শাড়িপরা ছবির এই প্রতিযোগিতার অন্যান্য বিজয়ীরা পেয়েছেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের বিউটি কুপন, ফ্লোর সিক্স রেস্তোরাঁয় সঙ্গীসহ ডিনারের সুযোগ ও অনলাইন শপ ইটস মি’র প্রিন্টেড কাপল টি-শার্ট। গত ২৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতাটি ৯ এপ্রিল শেষ হয়।
রেভারি ল্যাব মিমোসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমা আক্তার জানান, এই ছবি প্রতিযোগিতায় ফেসবুক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন বা ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে পরিবারের শাড়ি পরিহিত সদস্য বা নিজের সেলফি অথবা ছবি নির্দিষ্ট ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে পাঠান। প্রত্যেক প্রতিযোগীর ছবি এই পেজে বিশেষ ফ্রেমের মাধ্যমে আপলোড করা হয় এবং প্রতিযোগীকে ছবির লিঙ্ক ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। লিঙ্কের ছবিতে সবচেয়ে বেশি লাইক ও শেয়ারের ভিত্তিতে ১০ জন বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠক আলী লিওয়েলিন, দৈনিক ইত্তেফাকের পরিচালক ও প্রকাশক তারিন হোসেন, বিবিয়ানার স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার লিপি খন্দকার।
অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ঐতিহ্যগত তথ্য উপস্থাপন করতে তথ্যপ্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মোবাইল তাপস, ভিডিও শেয়ারিং, ওয়েবসাইটসহ নানা মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরা সম্ভব। আর তাই তথ্যপ্রযুক্তির নানা মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে ফটো কনটেস্ট, অ্যাপস কনটেস্ট কিংবা ভিডিও কনটেস্টের মতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।
তারিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রয়োজন। এ ধরনের অ্যাপ তৈরি করা হলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। আলী লিওয়েলিন বলেন, আমি শাড়ি পরতে জানতাম না। এই অ্যাপটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি এই অ্যাপটি থেকে কীভাবে শাড়ি পরতে হয় তা শিখেছি। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে এ ধরনের অ্যাপস সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
বাংলা নববর্ষে শাড়ি পরতে আগ্রহী কিন্তু শাড়ি পরতে জানেন না, এমন দেশি-বিদেশি বন্ধুদের শাড়ি পরায় সাহায্য করতে ইন্টারনেটে এই মোবাইল অ্যাপটি দেখার ঠিকানা দিয়ে দিতে পারেন। রেভারি ল্যাব মিমোসার শাড়ি পরার মোবাইল অ্যাপসের ঠিকানা: (https://play.google.com/store/apps/details?id=com.reverie.sareelite&hl=en)