‘হ্যালো’ নয়, ফোনে বলা হতো ‘আহয়’
প্রথম টেলিফোনে কল করা হয় ১৮৭৬ সালের ১০ মার্চ। স্কটিশ বংশোদ্ভূত উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্র থেকে পাশের কক্ষে থাকা সহকারী থমাস এ ওয়াটসনকে কল করে বলেন, ‘ওয়াটসন, এখানে এসো। আমি তোমাকে দেখতে চাই।’
বেল ও ওয়াটসন দুজনই জানতেন, বেশি দূরত্বে শব্দ না পাঠানো গেলে এ উদ্ভাবনের কোনো মূল্য নেই। তা ছাড়া দূরে কল করা না গেলে যন্ত্রটির ‘টেলিফোন’ নামকরণও হতো না।
মাস কয়েক চেষ্টার পর সে সাফল্যও ধরা দেয়। একই বছর ৯ অক্টোবর গ্রাহাম বেল যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে নিজের গবেষণাগার থেকে কেমব্রিজে কল করেন। বেল ছিলেন বোস্টনের কিলবি স্ট্রিটে। আর ফোনকল গ্রহণ করা হয় মাইল দুয়েক দূরে অবস্থিত ওয়ালওর্থ নামের তৎকালীন এক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে। তারের টেলিফোনে সে-ই প্রথম দূরে কোথাও ফোনকল। আজ দিনটির ১৪৪ বছর হয়ে গেল।
যাহোক, ইতিহাস তো জানলাম। এবার চলুন জেনে নিই টেলিফোন নিয়ে পাঁচটি মজার তথ্য।
টেলিফোন নিয়ে মজার পাঁচ তথ্য
টেলিফোনে সম্বোধনের জন্য শুরুতে ‘আহয়’ ব্যবহারের কথা বলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। পরে থমাস এডিসন শব্দটি বদলে ‘হ্যালো’ বলার রীতি চালু করেন।
২০০৭ সালে কাতারে এক নিলামে ‘৬৬৬ ৬৬৬৬’ ফোন নম্বরটি বিক্রি হয় ১৫ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ডে। নিলামটির উদ্দেশ্য ছিল দাতব্য।
১৯২২ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য উত্তর আমেরিকার সব টেলিফোন এক মিনিটের জন্য নীরব রাখা হয়।
টেলিফোন উদ্ভাবনের জন্য বেল ও এলিশা গ্রে দুজনই ১৮৭৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পেটেন্টের আবেদন করেন। আজ পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি, ঠিক কে আগে আবেদন করেছিলেন। আরেকটি ব্যাপার হলো, তার ২০ বছর আগেই টেলিফোনের মতো এক যন্ত্র তৈরি করেন ইতালীয় উদ্ভাবক আন্তোনিও মিউচি।
ফোনে কাউকে ‘হোল্ড’-এ রাখার শুরুটা সেই গ্রাহাম বেলের আমলেই। তবে পার্থক্য আছে। বেল তাঁর সহকারী ওয়াটসনের হাতে টেলিফোন যন্ত্র দিয়ে বলেছিলেন, ‘হোল্ড দিজ’। মানে, এটা ধরুন।
আরও পড়ুন
-
ফোর্বসের এশিয়ার তরুণ উদ্যোক্তাদের তালিকায় ৯ বাংলাদেশি
-
ঋণের সুদ ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ব্যবসাকে চাপে ফেলেছে, গভর্নরকে ব্যবসায়ী নেতারা
-
ছাগলনাইয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা ছিল অবৈধ: হাইকোর্ট
-
কেজরিওয়ালকে নিয়ে বিজেপি দিশাহারা, ইডির আরজিও খারিজ
-
যুদ্ধ শেষে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের