
নতুন টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থ দেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার এক কর্মশালায় এমন অভিযোগ করেছেন নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা: কোন পথে এনটিটিএনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ অভিযোগ করা হয়।
কর্মশালাটির আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।
কর্মশালায় নতুন নীতিমালার অসামঞ্জস্যতা ও এনটিটিএন খাতের ঝুঁকির দিকগুলো নিয়ে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আব্বাস ফারুক ও গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসার লে. কর্নেল (অব.) রবিউল ইসলাম।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালার খসড়ায় এনটিটিএন–সংশ্লিষ্টদের মতামতকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবটি পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা দেখেছেন, শুধু মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট–বিষয়ক মতামত এবং প্রস্তাবনা নীতিমালা আকারে সেখানে পেশ করা হয়েছে।
প্রবন্ধে দাবি করা হয়, প্রস্তাবিত নীতিমালাটি মোবাইল অপারেটরদের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক সুবিধাকে প্রসারের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যে প্রণীত।
কর্মশালায় বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা করার চারটি কারণ উল্লেখ করে ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী বলেন, এর কোনোটিই যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবার একেকটি খাতে প্রয়োজনের অধিক লাইসেন্স দিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির, ফাইবার অ্যাট হোমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আজাদ চৌধুরী। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।