ছবি: নিউজ১৮ ডটকম
ছবি:  নিউজ১৮ ডটকম

স্মার্টফোন ধীরগতির? অনুসরণ করুন এই পাঁচ উপায়

স্মার্টফোনে কল বা বার্তা পাঠানো ছাড়াও প্রাত্যহিক কাজ, বিনোদন, কেনাকাটা, সামাজিক যোগাযোগসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটি একটি অপরিহার্য যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যবহারে স্মার্টফোনে জমা হয় অসংখ্য তথ্য। চালু থাকে একাধিক অ্যাপ। ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনেকে নতুন ফোন কেনার কথাও ভাবেন। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন ও সচেতন ব্যবহারে পুরোনো ফোনটিই আগের মতো গতিশীল করে তোলা সম্ভব। নিচে এমন পাঁচটি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো, যেগুলো অনুসরণ করলে স্মার্টফোনের গতি বাড়ানো যায়।

১. ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু অ্যাপগুলো নিয়ন্ত্রণ করা

অনেক অ্যাপ আছে, যেগুলো ব্যবহার না করলেও ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। নোটিফিকেশন পাঠানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে এই অ্যাপগুলো ফোনের প্রসেসরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ফোন ধীরগতির হয়, ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে কোন অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে আর কোনগুলো নয়; তা নির্ধারণ করে দিলে এই চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। এতে ফোনের গতি বাড়ে, ব্যাটারির আয়ুও কিছুটা বাড়ে।

২. ক্যাশে মেমোরি মুছে ফেলা

অ্যাপ ব্যবহারের সময় সাময়িক ডেটা ক্যাশে মেমোরি হিসেবে ফোনে জমা হয়। শুরুতে এটি কাজে এলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জমা ডেটাই হয়ে ওঠে বাড়তি বোঝা। অনেক অ্যাপের ক্যাশে আলাদা করে পরিষ্কার করা যায়, আবার কিছু ফোনে সিস্টেম লেভেল ক্লিয়ার ক্যাশের সুবিধাও থাকে। ক্যাশে মুছে ফেললে ফোন হালকা হয়ে ওঠে, অ্যাপ চালু ও ব্যবহারে গতি ফেরে।

৩. অব্যবহৃত অ্যাপ সরিয়ে ফেলা

প্রয়োজনের সময় একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে পরে আর ব্যবহারই করা হয় না, এমনটা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। এই ধরনের অব্যবহৃত অ্যাপগুলো স্টোরেজ দখল করে রাখে, ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। স্মার্টফোনে এখন অব্যবহৃত অ্যাপ শনাক্তের ফিচার রয়েছ। সেখানে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো মুছে ফেললে স্টোরেজ খালি হয়, ফোনও হয়ে ওঠে তুলনামূলকভাবে দ্রুত।

৪. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা

ফোন নির্মাতারা নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট দিয়ে থাকো। এসব হালনাগাদে পারফরম্যান্স উন্নয়ন ও নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন পরিবর্তন যুক্ত করা হয়। এই আপডেটগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ফোনকে দ্রুততর করতেও সহায়তা করে। অনেকে ডেটা খরচের কথা ভেবে আপডেট এড়িয়ে যান, যা দীর্ঘ মেয়াদে ফোনের গতি ও স্থিতিশীলতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সময়মতো আপডেট ইনস্টল করে নেওয়া জরুরি।

৫. ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা

ব্যাটারির সঠিক ব্যবস্থাপনাও ফোনের গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফোনের স্ক্রিন ব্রাইটনেস খুব বেশি থাকলে বা ‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’র মতো ফিচার চালু থাকলে প্রসেসরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে পড়ে। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখা, প্রয়োজন অনুযায়ী উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করা কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যক্রম সীমিত রাখলে প্রসেসরের ওপর চাপ কমে এবং ফোন স্থিতিশীলভাবে কাজ করতে পারে।

সূত্র: নিউজ১৮