নিজেদের বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সেবা উন্মুক্তের আগে নিয়মিত ঝুঁকি মূল্যায়ন করে থাকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। এ জন্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আলাদা কর্মী বাহিনীও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এবার নতুন প্রযুক্তি ও সেবার ঝুঁকি মূল্যায়নে মানুষের বদলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পথে হাঁটছে মেটা। নতুন এ পরিকল্পনার আওতায় মেটার ‘প্রাইভেসি অ্যান্ড ইনটিগ্রিটি রিভিউ’ প্রক্রিয়ার ৯০ শতাংশ এআইয়ের মাধ্যমে করা হবে। সম্প্রতি মেটার অভ্যন্তরীণ নথিপত্র পর্যালোচনা কর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনপিআর।
এনপিআরের তথ্যমতে, বর্তমানে মেটা নিজেদের অ্যালগরিদম হালনাগাদ বা নতুন নিরাপত্তাসুবিধা চালুর আগে কর্মীদের মাধ্যমে ঝুঁকি পর্যালোচনা করে থাকে। এই পদ্ধতিতে প্রযুক্তির সম্ভাব্য সামাজিক, নৈতিক ও তথ্য-সংক্রান্ত ঝুঁকি বিশ্লেষণ করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নতুন পরিকল্পনায় এসব সিদ্ধান্তে মানুষের সম্পৃক্ততা কমিয়ে আনা হচ্ছে।
গত এপ্রিল মাসে মেটার ওভারসাইট বোর্ড ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য প্রকাশে প্রতিষ্ঠানের অবস্থানকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি কনটেন্ট মডারেশনের ক্ষেত্রে মেটার নীতিমালা ও বাস্তব প্রয়োগের দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, এই পরিবর্তনগুলো যেহেতু বিশ্বজুড়ে কার্যকর হচ্ছে, এখন মেটার উচিত এসব ব্যবস্থার মানবাধিকারের ওপর প্রভাব নিরূপণ করা। স্বয়ংক্রিয় কনটেন্ট শনাক্তকরণ ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বৈশ্বিকভাবে অসম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে মেটা নিজেদের ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রম বন্ধ করে ‘কমিউনিটি নোটস’ নামের জনসম্পৃক্ত যাচাইকরণের ব্যবস্থা চালু করেছে। নিজেদের বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সেবার ঝুঁকি মূল্যায়নের এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিষয়টি স্বীকার করে মেটা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে শুধু কম ঝুঁকিপূর্ণ প্রযুক্তি ও সুবিধা চালুর ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করা হবে।
সূত্র: ম্যাশেবল