পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন না—এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া কঠিন। পড়ার চাপ, রাতজাগা আর নোট গোছানো—সবকিছু মিলিয়ে পরীক্ষার আগে প্রস্তুতির সময়টা বেশ কঠিন। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতির এই সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সহায়তা নিয়ে পড়াশোনার চাপ কিছুটা কমানো যায়। সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এআই পড়াশোনার সময় কার্যকর সহকারী হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এআই সব সময় নির্ভুল তথ্য দেয় না। আর তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এআইয়ের সহায়তা নেওয়ার ছয় কৌশল দেখে নেওয়া যাক।
সেমিস্টারের শেষ দিকে অনেক শিক্ষার্থীকে বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ বা গবেষণাপত্র জমা দিতে হয়। এসব লেখায় কাঠামো, যুক্তি ও তথ্যসূত্র গুরুত্বপূর্ণ। এআই টুল ব্যবহার করে সহজেই প্রবন্ধের খসড়া, বিষয়ভিত্তিক লেখা কিংবা গবেষণার ধারণা পাওয়া যায়।
পরীক্ষার প্রস্তুতির বড় একটি অংশ হলো নোট থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে বের করা। চাইলে ব্যবহারকারী তার নিজের নোট এআই চ্যাটবটে দিয়ে সংক্ষেপে সাজিয়ে নিতে পারেন। এতে সময় বাঁচে, আর গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আলাদা করে সহজে পড়া যায়।
বিভিন্ন এআই টুলের মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন বিষয় পডকাস্টের মতো করে শোনা সম্ভব। এমনকি দুটি এআই চরিত্রের কথোপকথনের মাধ্যমে পড়ার বিষয়গুলো ব্যাখ্যাও করে নেওয়া যায়। ফলে হাঁটার সময় বা দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে পডকাস্ট শুনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।
অনেক সময় বারবার পড়ার পরও নির্দিষ্ট বিষয় সহজে বোঝা যায় না। এসব ক্ষেত্রে এআই চ্যাটবট ব্যবহার করে বিষয়টি সহজ ভাষায় বুঝে নেওয়া যায়।
বর্তমান এআই টুলগুলো লেখা ছাড়াও ছবি ও চার্ট তৈরিতেও পারদর্শী। জিপিটি ৪ও সংস্করণে চ্যাটজিপিটির ভিজ্যুয়াল প্রসেসিং ক্ষমতা আরও উন্নত হয়েছে। এটি ডেটা থেকে চার্ট, ফ্লোচার্ট বা অন্যান্য গ্রাফিক উপস্থাপন তৈরি করতে পারে, যা অনেক জটিল বিষয় সহজ করে বুঝতে সহায়তা করে।
পরীক্ষার আগে নিজেকে যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এআই ব্যবহার করে ব্যবহারকারী ফ্ল্যাশকার্ড, কুইজ কিংবা প্রশ্নোত্তর অনুশীলনের মাধ্যমে তার প্রস্তুতি কতটা কার্যকর হয়েছে, তা পরখ করে নিতে পারেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস