Thank you for trying Sticky AMP!!

জাপানের শিজুওকার হামামাৎসুতে ইয়ামাহা করপোরেশনের সদর দপ্তর

জাপানে ইয়ামাহা প্রতিষ্ঠিত

১২ অক্টোবর ১৮৮৭

সংগীত ও শব্দযন্ত্রনির্মাতা জাপানি প্রতিষ্ঠান ইয়ামাহার যাত্রা শুরু।

১২ অক্টোবর ১৯১৯

জাপানে তাকেশি ইয়ামাশিতা দ্য অলিম্পাস কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এটি অণুবীক্ষণযন্ত্র (মাইক্রোস্কোপ) ও থার্মোমিটার তৈরি করত।

১২ অক্টোবর ১৯৮৪

কম্পিউটার–‍নির্ভর অপরাধ ও প্রতারণা দমনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আইন পাস।

১২ অক্টোবর ১৯৮৮

অ্যাপল কম্পিউটার ছেড়ে দেওয়ার পর স্টিভ জবস নেক্সট নামের কম্পিউটার তৈরি করেন।

১২ অক্টোবর ১৮৮৭
জাপানে ইয়ামাহা প্রতিষ্ঠিত
সংগীত ও শব্দযন্ত্রনির্মাতা জাপানি প্রতিষ্ঠান ইয়ামাহার যাত্রা শুরু হয়। এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগীতযন্ত্রনির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৫ সালে মোটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য ইয়ামাহার একটি বিভাগ হিসেবে ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এটি স্বতন্ত্র কোম্পানি হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়।

ইয়ামাহার প্রতিষ্ঠাতা তোরাকুসু ইয়ামাহা

জাপানি ব্যবসায়ী তোরাকুসু ইয়ামাহা ‘ইয়ামাহা করপোরেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। এখন এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে ইয়ামাহা গিনজা ভবন। এটি জাপানের সবচেয়ে বড় সংগীতযন্ত্রের দোকান। এখানে কনসার্ট হল, স্টুডিওসহ নানা কিছু রয়েছে

বর্তমানে সংগীত ও বাদ্যযন্ত্র, শব্দযন্ত্র, ইলেকট্রনিক পণ্য ও মোটরসাইকেল প্রস্তুত করে ইয়ামাহা। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী রয়েছে ইয়ামাহায়।

অলিম্পাসের ক্যামেরা

১২ অক্টোবর ১৯১৯
দ্য অলিম্পাস কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত
জাপানে তাকেশি ইয়ামাশিতা দ্য অলিম্পাস কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এটি অণুবীক্ষণযন্ত্র (মাইক্রোস্কোপ) ও থার্মোমিটার তৈরি করত। পরে ক্যামেরা, চিকিৎসাযন্ত্রসহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরি করতে থাকে অলিম্পাস। রোগনির্ণয়ে ব্যবহৃত এন্ডোস্কোপের বৈশ্বিক বাজারের আনুমানিক ৭০ শতাংশ অলিম্পাসের দখলে। অলিম্পাসের সদর দপ্তর টোকিওর শিনজুকুতে। অলিম্পাসের কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার।

১২ অক্টোবর ১৯৮৪
কম্পিউটার–‍নির্ভর অপরাধ ও প্রতারণা দমনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আইন
যুক্তরাষ্ট্রে কম্প্রিহেনসিভ ক্রাইম কন্ট্রোল অ্যাক্ট নামের একটি আইন পাস হয়। এই আইন কম্পিউটার–নির্ভর অপরাধ ও প্রতারণা ঠেকানোর জন্য করা হয়েছিল। পরে এই আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।

নেক্সট কম্পিউটারের বিজ্ঞাপন

১২ অক্টোবর ১৯৮৮
স্টিভ জবস নিয়ে এলেন নেক্সট কম্পিউটার
বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াকের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করা অ্যাপল কম্পিউটার ইনকরপোরেটেড ছেড়ে দেওয়ার পর স্টিভ জবস নেক্সট নামের কম্পিউটার তৈরি করেন। শেষ পর্যন্ত যদিও জবসের নেক্সট ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু এই নেক্সটে নতুন অনেক প্রযুক্তিই যুক্ত করেছিলেন তিনি। এতে তথ্য ধারণের জন্য অপটিক্যাল স্টোরেজ ডিস্ক, কণ্ঠস্বর শনাক্ত করার ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর যেমন ছিল, তেমনি ছিল প্রোগ্রামিংকে সহজ করার জন্য অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। নেক্সটের মূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় (সাড়ে ছয় হাজার মার্কিন ডলার) এর বিক্রি ছিল সীমিত। স্টিভ জবসের নেক্সট কম্পিউটার ইনকরপোরেটেড পরে নেক্সট সফটওয়্যার ইনকরপোরেটেডে পরিণত হয়। সবশেষে ১৯৯৭ সালে অ্যাপল নেক্সট কিনে নেয়।

তবে স্টিভ জবসের নেক্সট কম্পিউটার প্রযুক্তির দারুণ এক ইতিহাসের অংশ। ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিজের কর্মস্থল সার্নে বসে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সবার জন্য উন্মুক্ত করেন এবং প্রথম ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন ওয়েবের জনক স্যার টিম বার্নার্স-লি। তিনি তখন স্টিভ জবসের ডিজাইন করা নেক্সট কম্পিউটার ব্যবহার করতেন। এই কম্পিউটারে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজসহ (এইচটিএমএল) ওয়েবের মূল প্রযুক্তির ভিত ছিল। স্টিভ জবস এতে প্রাথমিক একটি ব্রাউজার ও ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যারও বানিয়ে দিয়েছিলেন। তাই পৃথিবীর প্রথম ওয়েবসাইট রাখা হলো (হোস্ট করা) নেক্সট কম্পিউটারে। এটি থেকে সাইটটি প্রকাশও করা হয়েছিল।