আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে থাকা লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের সমালোচনা করেছেন অনেক ব্যবহারকারী
আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে থাকা লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের সমালোচনা করেছেন অনেক ব্যবহারকারী

আইওএস ২৬ নামিয়ে বিপাকে আইফোন ব্যবহারকারীরা

অ্যাপলের নতুন আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেম নামিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক আইফোন ব্যবহারকারী। খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) একাধিক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, নতুন আইওএসের সবচেয়ে বেশি আলোচিত ‘লিকুইড গ্লাস’ ইফেক্টের কারণে সহজে বার্তা পড়া যাচ্ছে না। কাচের মতো স্বচ্ছ এই ইফেক্ট অ্যাপ আইকন, হোমস্ক্রিন ও লকস্ক্রিনে যুক্ত থাকায় সেগুলো ব্যবহারেও সমস্যা হচ্ছে।

লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের সমালোচনা করে একজন ব্যবহারকারী এক্সে লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো কোনো আইওএস আপডেট আমার কাছে অসহনীয় মনে হচ্ছে। সবকিছু কাঁপছে, ঝলমল করছে, মনোযোগ নষ্ট করছে। অনেক জায়গায় লেখা পড়াই যায় না।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আইওএস ২৬ যেন এক ভিজ্যুয়াল বিপর্যয়। নোটিফিকেশন সেন্টার বিকৃত হয়ে গেছে, কি–বোর্ডে চোখ রাখলেই মাথা ঘোরে। ডার্ক মোডে কন্ট্রোল সেন্টার দেখতে লাগে সাপের বৃত্তের মতো।’ অন্য এক ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আইওএস ২৬ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্টিভ জবসের সময়কার অ্যাপলকে মনে পড়ছে।’

অ্যাপলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের নকশা চারপাশ প্রতিফলিত ও প্রতিসৃত করে। এতে কনটেন্টে মনোযোগ বাড়ে, নিয়ন্ত্রণ ও নেভিগেশন হয় আরও প্রাণবন্ত। হোমস্ক্রিন থেকে লকস্ক্রিন পর্যন্ত বিস্তৃত এই নকশা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও পারসোনালাইজ ও অভিব্যক্তিপূর্ণ। তবে অ্যাপলের এই দাবি মানতে নারাজ অনেক আইফোন ব্যবহারকারী। একজন ব্যবহারকারী এক্সে লিখেছেন, ‘যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, ঠিক সেটাই হলো। অনেক অ্যাপে লেখা স্পষ্ট নয়। অ্যানিমেশন ধীরগতির ও অপ্রয়োজনীয়। আগে যে কাজ এক ক্লিকে হতো, এখন লাগে দুই বা ততধিক ক্লিক। এটা অ্যাপলের মানের সঙ্গে যায় না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘লিকুইড গ্লাস যিনি অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। নকশাটি কদর্য এবং বিরক্তিকর। সবচেয়ে খারাপ হলো, এটা বন্ধ করার কোনো উপায় নেই।’

লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের সমালোচনা পাশাপাশি আইওএস ২৬ নামানোর পর আইফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়েও অভিযোগ করেছেন অনেক ব্যবহারকারী। ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, এটি সাময়িক সমস্যা। বড় ধরনের আপডেটের পর আইফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ইনডেক্স করার পাশাপাশি নতুন ফাইল ডাউনলোডসহ অ্যাপ হালনাগাদের মতো বিভিন্ন কাজ চলতে থাকে। এসব কারণে কিছু সময়ের জন্য ব্যাটারির স্থায়িত্ব ও কর্মক্ষমতায় প্রভাব পড়তে পারে।

সূত্র: ডেইলি মেইল