জাপানে ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সদর দপ্তর
জাপানে ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সদর দপ্তর

প্রযুক্তির এই দিনে: ২১ এপ্রিল

ব্রাদার ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠা

জাপানি বহুজাতিক বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

২১ এপ্রিল ১৯৫৪
ব্রাদার ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠা
জাপানি বহুজাতিক বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাপানের নাগোয়াতে ব্রাদারের সদর দপ্তর। ব্রাদার বর্তমানে প্রিন্টার, মাল্টিফাংশন প্রিন্টার, ডেস্কটপ কম্পিউটার, সাধারণ ও শিল্পকারখানার উপযোগী সেলাই মেশিন, কারখানার বড় আকারের যন্ত্রপাতি, লেবেল প্রিন্টার, টাইপরাইটার, ফ্যাক্স যন্ত্র এবং কম্পিউটার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরি করে।

ষাটের দশকে জনপ্রিয়তা পায় ব্রাদারের টাইপ রাইটার
উইকিমিডিয়া কমন্স

ব্রাদার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস আরও প্রাচীন। ইয়াসুই সুইং মেশিন কোম্পানি নামে নাগোয়ায় ১৯০৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা তিন ইয়াসুই ভাইয়ের কথা মনে রেখে ব্রাদার নামে প্রথম দিককার সেলাই মেশিন বাজারে আনে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হয় ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রাদার ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (ইউএস)। গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে টাইপরাইটারের বাজারে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে ব্রাদাস।

ব্রাদারের তৈরি কম্পিউটারাইজড সেলাই মেশিন

পরবর্তী সময়ে ফটোকপিয়ার, প্রিন্টার ও মাল্টিফাংশন (একাধিক কাজের উপযোগী) প্রিন্টারেও আধিপত্য বিস্তার করে ব্রাদার। ১৯৩২ সালে প্রথম সেলাই মেশিন উৎপাদন করার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সাত কোটিতম সেলাই মেশিন তৈরি উদ্‌যাপন করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ব্রাদারের কর্মরত স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৩১৪ এবং অস্থায়ী কর্মী ৩ হাজার ৭৭৯ জন।

একটা সময় আইবিএমের নিজেদের তৈরি কম্পিউটারেরে চেয়ে ক্লোন কম্পিউটার বেশি জনপ্রিয় হয়

২১ এপ্রিল ১৯৮৮
আইবিএমের ‘ক্লোন কম্পিউটার’ তৈরি ঘোষণা দেয় ট্যান্ডি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সংবাদ সম্মেলনে আইবিএমের পিএস/২ কম্পিউটারের ক্লোন (হুবহু প্রতিলিপি) কম্পিউটার তৈরির ঘোষণা দেয় ট্যান্ডি করপোরেশন। পারসোনাল কম্পিউটারের (পিসি) মূল প্রযুক্তির লাইসেন্স নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠান ‘ক্লোন কম্পিউটার’ তৈরি করতে পারবে, আইবিএমের এই ঘোষণা ট্যান্ডিসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পিসি নির্মাণে আগ্রহী করে তোলে। পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে আইবিএমের তৈরি কম্পিউটারের চেয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ক্লোন পিসি বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

মিডিয়া প্লেয়ার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল উইনঅ্যাম্প

২১ এপ্রিল ১৯৯৭
উইনঅ্যাম্প প্রকাশিত
কম্পিউটারে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে অডিও-ভিডিও ফাইল চালানোর, গান শোনার জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার সফটওয়্যার উইনঅ্যাম্প প্রকাশিত হয়। নিজদের প্রতিষ্ঠান নালসফট থেকে জাস্টিন ফ্র্যানকেল ও দিমিত্রি বলদেরেভ উইনঅ্যাম্প তৈরি ও প্রকাশ করেন। ১৯৯৯ সালে ৮ কোটি মার্কিন ডলারে এওএল নালসফট কিনে নেয়। বর্তমানে এটি লামা গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৭ সালে উইনঅ্যাম্পের প্রথম সংস্করণ প্রকাশের পর দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। এক বছরের মধ্যেই ৩০ লাখবার নামানো হয় (ডাউনলোড) হয় উইনঅ্যাম্প। ১৯৯৮ সালে আসে এর দ্বিতীয় সংস্করণ। ২০০০ সাল নাগাদ আড়াই কোটি ও ২০০১ সালে উইনঅ্যাম্পের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ছয় কোটিতে।
গত বছর উইনঅ্যাম্প স্ট্রিমিং সার্ভিস চালু করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে পরীক্ষামূলক সংস্করণের অ্যাপও রয়েছে।