
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের মূল তিনটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মাইবিএল, টফি ও রাইজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রবৃদ্ধির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে মাইবিএল। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে অ্যাপটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী বেড়েছে ৬ শতাংশ, যা বর্তমানে ৮৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানিয়েছে বাংলালিংক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুধু সেলফ-কেয়ার টুল হিসেবেই নয়, বরং ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রাকে সমৃদ্ধ করতে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সেবা দিচ্ছে মাইবিএল। অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় সব সেবা পাওয়ার পাশাপাশি এক প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহার করছেন বিনোদন, মিউজিক, গেমিং, অনলাইন এডুকেশন, অনলাইন হেলথ কেয়ার, বিল পেমেন্ট, টিকিট বুকিংসহ বিভিন্ন সেবা। অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল পরিশোধ, ট্রেন ও বিমান টিকিট কেনা এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস সুবিধাসহ স্বাচ্ছন্দ্যে ২৪/৭ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
মাইবিএলের পাশাপাশি বাংলালিংকের ডিজিটাল প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে টফি প্ল্যাটফর্ম। বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুবিধা এবং সহজ ইন্টারফেসের কারণে গত ছয় মাসে টফি অ্যাপের ব্যবহারকারী বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। লাইভ টিভি, জনপ্রিয় নাটক, বিভিন্ন কনটেন্ট ও খেলা সম্প্রচারের কারণে এই প্ল্যাটফর্ম শহর ও গ্রামে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
মাইবিএল ও টফির পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘রাইজ’ প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্ল্যাটফর্মটিতে যোগাযোগ দক্ষতা, পেশা প্রস্তুতি ও উদ্যোক্তাভিত্তিক শিক্ষার ওপর বিভিন্ন কোর্স রয়েছে, যা শিল্প খাত ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবধান কমিয়ে আনতে এবং তরুণদের ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করতে ভূমিকা রাখছে।
ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোর জন্য বাংলালিংকের রয়েছে ‘বিক্লাইউড’। এর মাধ্যমে যেকোনো আকারের ব্যবসা এখন নিরাপদে, সহজে ও প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন, দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যৎ উপযোগী অবকাঠামো দেশব্যাপী শক্তিশালী ডিজিটাল সেবার সুবিধা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখছে।