নভোচারী ডেভিড উলফ মহাকাশ থেকে প্রথম ভোট দেন
নভোচারী ডেভিড উলফ মহাকাশ থেকে প্রথম ভোট দেন

মহাকাশ থেকেও ভোট দেওয়া যায়

বিভিন্ন নির্বাচনে মহাকাশ থেকেও ভোট দেওয়া যায়। মহাকাশ থেকে ভোটাধিকার চর্চার সুযোগ পেয়েছেন অনেক মহাকাশচারী। মহাকাশচারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা আছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার। ১৯৯৬ সালে মহাকাশচারী জন ব্লাহা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটের অনুমতি চেয়েছিলেন। নাসা ভোট আয়োজন করলেও ইলেকট্রনিক ভোটিংয়ের নিয়ম ছিল না বলে তা বাতিল হয়। ১৯৯৭ সালে আইন করে ভোটের নিয়ম চালু হয়। একই বছর রাশিয়ার মির স্পেস স্টেশনে অবস্থানরত মার্কিন নভোচারী ডেভিড উলফ মহাকাশ থেকে প্রথম ভোট দেন। তিনি হিউস্টনের স্থানীয় নির্বাচনে একটি সুরক্ষিত ইলেকট্রনিক ব্যালট ব্যবহার করে ভোটটি পাঠিয়েছিলেন।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য মহাকাশচারীদের অনুপস্থিত ভোট দেওয়া বিষয়ে একটি আইন পাস করে। যেহেতু বেশির ভাগ মার্কিন নভোচারী হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের কাছে বাস করতেন, তাই এ আইনটি তাঁদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল। ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়া হচ্ছে মহাকাশ থেকে। ২০০৪ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন লেরয় চিয়াও। নভোচারী ক্যাথলিন রুবিনস ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মহাকাশ থেকে ভোট দেন।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ভোটিং বুথে ভোট দেন এক নভোচারী

শুধু মার্কিন নভোচারীরাই নন, রুশ নভোচারীরাও মহাকাশ থেকে ভোট দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে ভোট দেন সয়ুজ ১১ ক্রুরা। ১৯৮৯ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে তিন নভোচারী—সের্গেই ক্রিকালেভ, ভ্যালেরি পোলিয়াকভ ও আলেকজান্ডার ভলকভ মির স্পেস স্টেশন থেকে ভোট দেন। তাঁদের ভোট অগোপনীয় ছিল না। তাঁরা গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় তাঁদের পছন্দের প্রার্থী ঘোষণা করেন। বর্তমানে রুশ নভোচারীরা সাধারণত প্রক্সি বা প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোট দেন।

ফরাসি নভোচারী থমাস পেসকু ২০১৭ সালে মহাকাশ থেকে ভোট দেন। ২০১৭ সালে দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মাইল ওপরে অবস্থান করে তাঁদের ভোট দেন।

সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন