আকারে ছোট হলেও নতুন চাঁদ ২০৮৩ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি অবস্থান করবে
আকারে ছোট হলেও নতুন চাঁদ ২০৮৩ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি অবস্থান করবে

পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদ কত বছর থাকবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

রাতে আকাশের দিকে তাকালে একটি চাঁদই দেখা যায়। কিন্তু পৃথিবীর প্রাকৃতিক চাঁদের সঙ্গে আরও একটি চাঁদ যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘২০২৫ পিএন৭’ নামের নতুন চাঁদটি মূলত ১৯ মিটার ব্যাসের একটি ছোট গ্রহাণু। আকারে ছোট হলেও গ্রহাণুটি ২০৮৩ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি অবস্থান করবে। আর তাই বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিকে কোয়াসি-মুন বা আংশিক চাঁদ বলছেন।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহাণুটি চাঁদের মতো পৃথিবীর চারপাশে আবর্তন করে না, কিন্তু পৃথিবীর সঙ্গে প্রায় একই গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। এটিকে দূর থেকে পৃথিবীর সঙ্গী বলে মনে হয়। গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। আর তাই ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য এই গ্রহাণূ দুর্লভ সুযোগ করে দিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৫ পিএন৭ গ্রহাণুটি বহু বছর ধরেই পৃথিবীর কক্ষপথের খুব কাছাকাছি ঘুরছিল, কিন্তু আকারে ছোট ও আলো কম হওয়ায় এত দিন তা শনাক্ত করা যায়নি। ২০৮৩ সালের পর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ প্রভাবমুক্ত হয়ে ধীরে ধীরে সৌরজগতের বাইরের দিকে চলে যাবে গ্রহাণুটি।

প্রসঙ্গত, কোয়াসি-মুন এমন এক বিশেষ ধরনের মহাজাগতিক বস্তু, যা পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে বলে মনে হলেও আসলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে থাকে। এদের কক্ষপথের সময়কাল পৃথিবীর মতো বলে পৃথিবীর সঙ্গে প্রায় পাশাপাশি চলে। পৃথিবী যেমন এক বছরে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে, কোয়াসি-মুনও তেমনি করে। আমাদের প্রাকৃতিক চাঁদ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে সম্পূর্ণ আবদ্ধ এবং কখনো মুক্ত হয় না। কিন্তু কোয়াসি-মুন তুলনামূলকভাবে স্বাধীন। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে সামান্যভাবে প্রভাবিত হলেও সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ হয় না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া