নতুন ধরনের এক মহাজাগতিক ঘটনার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ফার্মি টেলিস্কোপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ধারণ করা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গামা রশ্মি বিস্ফোরণের তথ্য সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গত ২ জুলাই গামা রশ্মি বিস্ফোরণের সংকেত প্রথম শনাক্ত করা হয়। ‘জিআরবি ২৫০৭০২বি’ নামের সংকেতটি প্রথম দেখার পর প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে জ্বলজ্বল করেছে।
গামা রশ্মি বিস্ফোরণ মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণ। প্রায়ই এক্স-রে, অপটিক্যাল ও রেডিও তরঙ্গদৈর্ঘ্যে গামা রশ্মি বিস্ফোরণের তথ্য ধরা পড়ে। কোনো তারা একটি কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে প্রবেশের সময় অত্যন্ত শক্তিশালী আলোর বিস্ফোরণ ঘটে। এটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এবারের গামা রশ্মি বিস্ফোরণের আলোর সংকেত প্রায় সাত ঘণ্টা পর্যন্ত দেখা গেছে।
যুক্তরাজ্যের লিভারপুল জন মুরস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল পার্লি জানিয়েছেন, বিজ্ঞানীরা নতুন গামা রশ্মি বিস্ফোরণের উচ্চ রেঞ্জে ফোটন শনাক্ত করেছেন। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে সেখানে কোনো উজ্জ্বল সুপারনোভা দেখা যায়নি। হিলিয়াম মার্জিংয়ের কারণে এই গামা রশ্মি বিস্ফোরণ অতি দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গামা রশ্মি বিস্ফোরণ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনেকেই কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে তারা প্রবেশের সময় এই গামা রশ্মি বিস্ফোরণ ঘটেনি বলে ধারণা করছেন।
সূত্র: আর্থ ডটকম