Thank you for trying Sticky AMP!!

মহাকাশের ছবি নিয়ে প্রতিবছর আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অবজারভেটরি

জ্যোতির্বিজ্ঞানের সেরা ১১ ছবি দেখে নিন

মহাকাশের সীমা-পরিসীমা নিয়ে  রয়েছে অসংখ্য রহস্য। মহাকাশের এ গোপন রহস্যের সমাধান করতে বহুদিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। আলোকচিত্রীরাও বসে নেই। শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে তাঁরা নিয়মিতই মহাকাশের বিভিন্ন রহস্য ধারণ করছেন। মহাকাশের ছবি নিয়ে প্রতিবছর জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অবজারভেটরি (গ্রিনিচ মানমন্দির)। ‘অ্যাস্ট্রোনমি ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২৩’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় ৬৪ দেশ থেকে ৪ হাজারের বেশি ছবি জমা পড়ে। সম্প্রতি প্রতিযোগিতার ১১টি বিভাগে বিজয়ী জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক ছবি প্রকাশ করেছে রয়্যাল অবজারভেটরি।

রয়্যাল অবজারভেটরির জ্যোতির্বিদ এড ব্লুমার বলেন, ‘বিজয়ী নির্বাচন করা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। এ বছরের বিজয়ী ছবিগুলোর মধ্যে আবিষ্কারের বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও আমরা দারুণ সব প্রচেষ্টাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। আমি নবীন আলোকচিত্রীদের কাজ দেখে খুব খুশি। নির্বাচিত ছবিগুলো নিয়ে লন্ডনের ন্যাশনাল মেরিটাইম জাদুঘরে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার সঙ্গে বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিনও যুক্ত রয়েছে।’

অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথের ছবি

অপ্রত্যাশিত ছায়াপথ

২০২৩ সালের প্রতিযোগিতায় সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথের ছবি ‘অ্যান্ড্রোমিডা, আনএক্সপেক্টেড’। আমাদের নিকটবর্তী সর্পিল এ ছায়াপথের ছবি তুলেছেন মার্সেল ড্রেচসলার, জেভিয়ার স্ট্রটনার এবং ইয়ান সেন্টি। তাঁরা বলেন, ‘আমাদের দলের জন্য এই পুরস্কার ভীষণ সম্মানের। আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এই পুরস্কার আমাদের জ্যোতির্ফোটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহকে আরও গভীর করে তুলবে।’ ফ্রান্সের ন্যান্সি নামের জায়গা থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। ছবিটি তুলতে তাকাহাশি এফএসকিউ-১০৬ইডিএক্স৪ টেলিস্কোপ, স্কাই-ওয়াচার ইকিউ৬ প্রো মাউন্ট, জেডাব্লিউও এএসআই২৬০০এমএম প্রো ক্যামেরা, ৩৮২ এমএম এফ/৩.৬, ১-৬০০ সেকেন্ডের মধ্যে একাধিক এক্সপোজার, এবং ১১১ ঘণ্টার এক্সপোজার ব্যবহার করা হয়েছে।

ব্রাশ স্ট্রোক

ব্রাশ স্ট্রোক

ব্রাশ স্ট্রোক ছবিটি তুলেছেন মনিকা ডেভিয়েট। ছবিটি তোলা হয়েছে ফিনল্যান্ডের উটজোকি থেকে। ক্যামেরা ছিল নাইকন ডি৮৫০।

মার্স সেট

মার্স সেট

মার্স সেট ছবিটি তুলেছেন ইথান চ্যাপেল। ছবি তোলার স্থান যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস। আওয়ার মুন বিভাগে বিজয়ী এ ছবি তুলতে সেলিসট্রোন এজএইচডি ১৪ টেলিস্কোপ, আইঅপট্রন সিইএম৭০ মাউন্ট, অ্যাস্ট্রো-ফিজিকস বারাডিভি লেন্স এবং জেডডব্লিউও এএস১৪৬২ এমসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

এ সান কোশ্চেন

এ সান কোশ্চেন

এ সান কোশ্চেন নামের এই ছবি তুলেছেন এডওয়ার্ড শ্যাবার্গার পাউপাউ। আর্জেন্টিনার সান্তা ফেতে এটি তোলা হয়েছে।

জিলা

জিলা

জিলা ছবিটি তুলেছেন বিকাশ চন্দ্র। নামিবিয়ার ইরোঙ্গো অঞ্চলের হেনটিস উপসাগর থেকে এই ছবি তোলা হয়েছে। ছবি তুলতে নাইকন ডি৮৫০ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এই উপসাগরের ভাসমান জাহাজ ও মহাবিশ্বের বিশালত্বে একাকিত্বের আবহ দেখা যায় ছবিতে।

সাসপেন্ডেড ইন এ সানবিম

সাসপেন্ডেড ইন এ সানবিম

সাসপেন্ডেড ইন এ সানবিম ছবিটি তুলেছেন টম উইলিয়ামস। যুক্তরাজ্যের উইলশায়ার থেকে ছবিটি তোলা। গ্রহ, ধূমকেতু ও গ্রহাণু শ্রেণিতে সেরা এই ছবি তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে স্কাই-ওয়াচার ৪০০পি (১৬ ইঞ্চি) গোটু ডবসোনিয়ান রিফ্লেক্টর টেলিস্কোপ, ব্যাডার বেসেলও জেডডাব্লিউও আইআর ৮৫০ফিল্টার, জেডডাব্লিউও এএসআই৪৬২ মিমি ক্যামেরা।

গ্র্যান্ড কসমিক ফায়ারওয়ার্কস

গ্র্যান্ড কসমিক ফায়ারওয়ার্কস

গ্র্যান্ড কসমিক ফায়ারওয়ার্কস ছবিটি তুলেছেন অ্যাঞ্জেল অ্যান। সনি আইএলসিই ৭এসথ্রি ক্যামেরা ব্যবহার করে চীনের তিব্বত অঞ্চল থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রঙিন একমুহূর্তের ঝলক রয়েছে এই ছবিতে।

নিউ ক্লাস অব গ্যালাকটিক নেবুলা অ্যারাউন্ড দ্য স্টার

নিউ ক্লাস অব গ্যালাকটিক নেবুলা অ্যারাউন্ড দ্য স্টার

নিউ ক্লাস অব গ্যালাকটিক নেবুলা অ্যারাউন্ড দ্য স্টার ছবিটি তুলেছেন মার্সেল ড্রেশলার। চিলির ওভাল থেকে তোলা এই ছবি তারা ও নীহারিকা বিভাগে বিজয়ী হয়েছে। এএসএ নিউটনিয়ান ৫০০ মিলিমিটার টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা হয়েছে ছবিটি ।

রানিং চিকেন নেবুলা

রানিং চিকেন নেবুলা

এ বছরের তরুণ জ্যোতির্বিজ্ঞান আলোকচিত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রানওয়েই জু এবং বিনিউ ওয়াং। ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোর চিলির রিও হার্টাডোর এল স্যসে অবজারভেটরি থেকে রানিং চিকেন নেবুলা নামের এই ছবি তুলেছে। এই ছবি তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে এএসএ এন২০ এফ/৩.৮ নিউটোনিয়ান টেলিস্কোপ, এএসএ ডিডিএম৮৫ মাউন্ট, এফএলআই প্রোলাইন ১৬৮০৩ ক্যামেরা। ১৯০০ এমএম এফ/৩.৮, ৫.৫ ঘন্টার এক্সপোজার ব্যবহার করে ছবিটি তোলা হয়েছে।

ব্লাইন্ডেড বাই দ্য লাইট

ব্লাইন্ডেড বাই দ্য লাইট

এসএইচ২-১৩২: ব্লাইন্ডেড বাই দ্য লাইট নামের এই ছবি তুলেছেন অ্যারন উইলহেম। ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা মনিকা থেকে ছবিটি তোলা ছবিটি সেরা নবাগতের জন্য স্যার প্যাট্রিক মুর পুরস্কার পেয়েছে। ছবিটি তুলতে উইলিয়াম অপটিক্স ফ্লুরোস্টার ১৩২ এমএম টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছে।

ব্ল্যাক ইকো

ব্ল্যাক ইকো

জন হোয়াইটের ব্ল্যাক ইকো ছবিটি অ্যানি মান্ডার পুরস্কার পেয়েছে। নাসা চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির তথ্য ব্যবহার করে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন