বিশ্ববাজারে কম্পিউটার মেমোরি বা র্যামের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। বছরের শেষ সময়ে এসে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই একলাফে আকাশচুম্বী হয়েছে ডিডিআর৪ ও ডিডিআর৫ র্যামের দাম। সম্প্রতি প্রকাশিত র্যামের বৈশ্বিক বাজারদরের একটি গ্রাফ বিশ্লেষণ করে এই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত র্যামের দাম মোটামুটি সহনশীল ও স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে হঠাৎ করে র্যামের দাম বেড়ে গেছে। ১৬ গিগাবাইটের ৫৬০০ মেগাহার্টজের ডিডিআর৫ ইউ-ডিম র্যামের দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে ৪০ দশমিক ৬ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা) আশপাশে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে হঠাৎ করে তা একলাফে বেড়ে ৮৫ ডলারে (১০ হাজার টাকার বেশি) পৌঁছেছে। অর্থাৎ মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
ডিডিআর৪ র্যামের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ৮ গিগাবাইটের দুটি স্টিক বা ১৬ গিগাবাইট কিটের (৩২০০ মেগাহার্টজ) দাম নভেম্বরের শেষে যেখানে ৪৮ ডলার ছিল, তা ডিসেম্বরের শুরুতে বেড়ে ৬৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে ডিডিআর৪ র্যামের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে আট হাজার টাকা বেড়েছে।
বিপণন ও জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ এবং কর্সেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তা ফায়সাল খান আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে র্যামের দাম আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই বেড়ে গেছে, যার ফলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা আগে থেকে সংরক্ষণ করতে পারেনি। ফলে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে র্যামের দাম তিন গুণ বেড়েছে। আর তাই ডিডিআর৫ ১৬ গিগাবাইটের যে র্যাম আগে ৭ হাজার থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যেত, তা ২০ হাজার টাকার আশপাশে কিনতে হচ্ছে। দুই–তিন দিনের মধ্যে ডিডিআর৪ র্যামের দামও দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে।’
প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের মতে, চিপ–সংকটের আশঙ্কা কিংবা বছরের শেষ সময়ে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাতের কারণে এই কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই দাম বাড়ার ফলে শিগগিরই এর নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।