Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রশান্ত মহাসাগরে নতুন তিন মাছের সন্ধান

প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে নতুন তিন প্রজাতির মাছের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রশান্ত মহাসাগরের আটাকামা ট্রেঞ্চে বাস করে এসব মাছ। ছবি: সংগৃহীত

প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে নতুন তিন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গভীর সাগরে পর্যবেক্ষণে সক্ষম একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের খোঁজ পাওয়া গেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের আটাকামা ট্রেঞ্চে বাস এসব প্রাণীর।

ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গভীর সাগরে পর্যবেক্ষণকারী বিশেষ যন্ত্রগুলোর পোশাকি নাম ‘ডিপ সি ল্যান্ডার’। টোপ গেঁথে দিয়ে এই ল্যান্ডারকে সাগরের গহিনে নামানো হয়। সাগরের তলদেশে নামতে এই ল্যান্ডারের সময় লাগে মোট চার ঘণ্টা। আটাকামা ট্রেঞ্চ প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম এলাকাগুলোর অন্যতম। পেরু ও চিলির উপকূলে এর অবস্থান। সাগরের তলদেশে ল্যান্ডারটি পৌঁছানোর পর শুরু হয় ভিডিওচিত্র ধারণের কাজ। মূলত সাগরের তলদেশের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা পেতেই এই ল্যান্ডার ব্যবহার করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা গত সোমবার নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটিতে নতুন প্রজাতির মাছ আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। এগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে ২১ হাজার ফুট গভীরে সাগরের প্রায় তলদেশে বাস করে। মূলত স্নেইলফিশের তিনটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের তলদেশের প্রাণীদের আকৃষ্ট করতে ল্যান্ডারের সঙ্গে খাবারের টোপ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন প্রাণী সেই খাবার খেতে ল্যান্ডারের চারপাশে ভিড় জমায়। আর এই সুযোগেই ক্যামেরাবন্দী হয় নতুন তিন প্রজাতির মাছ। নতুন মাছগুলোর প্রাথমিক নাম রাখা হয়েছে পিংক, ব্লু ও পার্পল আটাকামা স্নেইলফিশ।

বিজ্ঞানী দলের অন্যতম সদস্য এবং নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির গবেষণা সহকারী থমাস লিনলে বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাগরের তলদেশে অনেক শিকারি প্রাণী রয়েছে এবং তাদের মধ্যে স্নেইলফিশ অন্যতম। নতুন প্রাণীগুলো ছিল বেশ সক্রিয় এবং তাদের স্বাস্থ্যও ভালো ছিল।’

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব মাছের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এগুলোর দাঁত ও অন্তঃকর্ণের হাড়। এই দুটো অঙ্গের কারণেই মাছগুলো নিজেদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এবং সাগরের গভীরে পানির প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে।

তবে গহিন সাগরের অন্যান্য প্রাণীর মতো বড় বড় দাঁত নেই নতুন প্রজাতির মাছের। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গভীর সাগরের প্রাণীদের মধ্যে সাধারণ যেসব বৈশিষ্ট্য থাকে, নতুন মাছগুলোয় সে ক্ষেত্রে বেশ ভিন্নতা আছে।